ফাইল চিত্র।
এক কারারক্ষীকে খুন করে, অন্য কারারক্ষীর হাত-পা বেঁধে ভোপালের সেন্ট্রাল জেল ভেঙে পালাল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সিমি-র ৮ জঙ্গি। ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাত ২টো নাগাদ। জেল সূত্রে খবর, ওই আট জনের মধ্যে তিন জন ২০১৩-য় মধ্যপ্রদেশেরই খান্ডোয়া ভেঙে পালিয়েছিল।
কী ভাবে ঘটল এই ঘটনা?
পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিরা দিওয়ালির রাতটাকেই বেছেছিল পালানোর জন্য। চারদিকে তখন দিওয়ালির উত্সবে মাতোয়ারা মানুষ। দেদার শব্দবাজিও ফাটছিল। সেই সুযোগে ওই জঙ্গিরা প্রথমে এক কারারক্ষীর হাত-পা কষে বেঁধে দেয়। এই ঘটনা দেখে ফেলতেই হেড কনস্টেবল রাম শঙ্কর তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই জঙ্গিরা তাদের সঙ্গে থাকা ধারালো স্টেলের প্লেট ও কাচের টুকরো দিয়ে রাম শঙ্করের গলার নলি কেটে দেয়। জেলের পাঁচিল টপকানোর জন্য জঙ্গিরা বিছানার চাদর ব্যবহার করেছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরই পুরো এলাকায় চিরুণি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়েও। এই ঘটনার জন্য জেল সুপার এবং তিন কারা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ বলেন, “নিরাপত্তার কোনও গাফিলতি রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
যে আট জঙ্গি পালিয়েছে তাদের নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। ওই আট জঙ্গিরা হল— মুজিব শেখ, মজিদ, আকিল, খালিদ, জাকির, মেহবুব শেখ, আমজাদ এবং মহম্মদ শালিক।
২০১৩-য় খান্ডোয়া জেলের বাথরুমের জানলা ভেঙে দুই কারারক্ষীকে কুপিয়ে রাইফেল এবং ওয়্যারলেস সেট নিয়ে সাত সিমি জঙ্গি পালিয়েছিল। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় নাম ভাঁড়িয়ে গা ঢাকা দিয়ে ছিল। মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। ওই দলটিই চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে, উত্তরাখণ্ডের রুরকি এবং উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশের দাবি।
আরও খবর...