আঁটসাঁট সংসদ ভবনের নিরাপত্তা। ছবি: পিটিআই।
বুধবার সংসদে হানার পরই নিরাপত্তার প্রশ্ন জোরালো হতে শুরু করেছে। সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতির অভিযোগে দায়িত্বে থাকা আট নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করল লোকসভার সচিবালয়। সূত্রের খবর, বুধবার যে সময় ঘটনাটি ঘটেছিল সেই সময় সংসদ ভবনের মূল প্রবেশপথ-সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই আট জন। বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই, নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্নে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। বিরোধীরা এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানান।
বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ সভা চলাকালীন আচমকাই দর্শক আসন থেকে নীচে ঝাঁপ মারেন দুই যুবক। একের পর এক বেঞ্চ টপকে স্পিকারের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন তাঁরা। জুতো থেকে রংবোমা বার করে ছোড়েন। ঘন হলুদ ধোঁয়ায় ঢেকে যায় লোকসভার মূল অধিবেশন কক্ষের একাংশ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাংসদরা। সাংসদেরাই দুই যুবককে ধরার চেষ্টা করেন। দুই সাংসদ হনুমা বেনিওয়াল এবং মালুক নাগর দুই যুবককে ধরে ফেলেন। তার পর তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, অমল শিন্ডে এবং নীলম দেবী নামে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাঁদের আর এক সহযোগী ভিকি শর্মাকে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবারের এই ঘটনার পরই সংসদ ভবন এবং সাংসদদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন ওঠে। সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন অমিত শাহের অধীনস্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই তদন্তের দায়িত্বে থাকবেন সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) অনীশ দয়াল সিংহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “লোকসভার সচিবালয়ের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংসদের নিরাপত্তায় গলদের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ জারি করেছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। যার দায়িত্বে থাকবেন সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল অনীশ দয়াল সিংহ। অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞরা এই কমিটির সদস্য হিসাবে থাকবেন।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “এই কমিটি সংসদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণগুলি খতিয়ে দেখবে। এ ছাড়া কোথায় খামতি রয়ে গিয়েছে সেই সব দিক খতিয়ে দেখে তাদের সুপারিশ জানাবে। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট যত দ্রুত সম্ভব জমা দেবে কমিটি।” তার পরই আট নিরাপত্তারক্ষীকে সাসেপন্ড করা হল।