ঝাড়খণ্ডে হাতির হামলা। ফাইল চিত্র।
কাউকে পায়ের তলায় পিষে, কাউকে আবার আছাড় মেরে, ঝাড়খণ্ডের গত দু’দিনে হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে আট জনের। মঙ্গলবার বোরেয়া এবং ইটকি গ্রামে দলছুট হয়ে ঢুকে পড়ে একটি হাতির। সেটির সামনে পড়ে যান চার গ্রামবাসী। ওই চার জনকেই শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে হাতির দলটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই গ্রামের চার জনের।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন সুখবীর কিরো, রানধওয়া দেবী, গন্ডোয়ানা ওরাওঁ এবং পুনায়ি ওরাওঁ। হাতির হামলার খবর পেয়ে ইটকি এবং বোরেয়া গ্রামে যান বনদফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু হাতিটিকে বাগে আনতে পারেননি। হাতিটিকে গ্রাম থেকে জঙ্গলে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি দু’টি গ্রামে এক দিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চার জনের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সোমবারেও হাতির হামলায় রাজ্যের লোহারডাগা জেলার ভান্ডারা প্রখন্ড গ্রামে তিন মহিলা-সহ চার জনের মৃত্যু হয়। গ্রামের একটি মাঠে প্রাতঃকৃত্যের সময় ওই চার জনের উপর একটি দলছুট হাতি হামলা চালায়। একের পর এক চার জনকে পায়ে পিষে মারে। তার পর মৃতদেহগুলির পাশে বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করে হাতিটি। ফলে দেহগুলি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না বলে গ্রামবাসীদের দাবি। এর পর হাতিটি সরে গেলে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার যে দলছুট হাতি ভান্ডারা প্রখন্ড গ্রামে হামলা চালিয়েছিল, সেই হাতিটিই কি ইটকি এবং বোরেয়া গ্রামে হামলা চালিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে বনদফতর। ইতিমধ্যেই বনদফতরের তরফে মৃতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সরকারও মৃতদের পরিবাগুলিকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।