প্রতীকী ছবি।
জাতীয় শিক্ষানীতি এবং এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা রাষ্ট্রীয় শিক্ষা অনুসন্ধান এবং প্রশিক্ষণ পরিষদ)-র পাঠ্যক্রম বদল নিয়ে এ বার নরেন্দ্র মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ ৭৩ জন শিক্ষাবিদ শুক্রবার এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, পাঠ্যক্রম বদল নিয়ে কেন্দ্র এবং এনসিইআরটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
পূর্বতন সরকারের জমানায় এনসিআরটির পাঠ্যপুস্তকের লেখক বাছাই প্রক্রিয়া মোদীর জমানায় অনেক স্বচ্ছ এবং যুক্তিসঙ্গত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার এনসিইআরটি অনুমোদিত বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকের ৩৩ জন লেখক তথা শিক্ষাবিদ চিঠি পাঠিয়ে ‘পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন কমিটি’ (টিডিসি) থেকে তাঁদের বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তার পরেই ‘সক্রিয়তা’ শুরু করলেন সরকার সমর্থক শিক্ষাবিদেরা।
৭২ জন শিক্ষাবিদের দাবি, যুক্তিসঙ্গত কারণেই এনসিইআরটির পাঠ্যক্রমের সংশোধন-পরিমার্জন করা হচ্ছে। ইউজিসির চেয়ারম্যান জগদীশ কুমারও শুক্রবার পাঠ্যক্রম বদলের প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে বলেন, ‘‘যুক্তি এবং ভারসাম্য রক্ষা করে নতুন পাঠ্যক্রম তৈরি করছে এনসিইআরটি।’’
প্রসঙ্গত, এনসিইআরটির নির্দেশিকা মেনে গত কয়েক মাসে পরিবর্তন ঘটেছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে। কোনও শ্রেণিতে মোগল যুগ বাদ পড়েছে। কোথাও ডারউইনের বিবর্তনবাদ। কোথাও নারী আন্দোলনের ইতিহাস। কোথাও বা ভারতের সামাজিক বৈষম্য। শিক্ষামহল এবং শিক্ষায় আগ্রহী মহল, সর্বত্রই এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপি মূলত তাদের সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ এবং দৃষ্টিকোণ থেকেই ছেঁটে ফেলার বিষয়গুলি ঠিক করছে। উল্টো মতামত হল, পড়ুয়াদের উপর অকারণ চাপ কমাতেই এই সব রদবদল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই। এ বার বিজেপি-ঘনিষ্ঠ শিক্ষাবিদেরাও সেই যুক্তি নিয়ে প্রচার শুরু করলেন।