সেতু থেকে ঝাঁপ দিচ্ছেন বৃদ্ধা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্রায় ৪০ ফুট উঁচু সেতু থেকে খরস্রোতা গঙ্গায় ঝাঁপ মারলেন বছর সত্তরের এক বৃদ্ধা। শুধু ঝাঁপ মারা-ই নয়, খরস্রোতা জলে পড়ে দিব্যি সাঁতরে পারেও উঠলেন তিনি। এই বয়সে এমন একটা ‘দুঃসাহসিক’ কাজের জন্য নেটমাধ্যমে রীতিমতো চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ওই বৃদ্ধা।
হরিদ্বারে ‘হর কি পৌড়ী’তে খরস্রোতা গঙ্গার উপরে সেতু থেকে জলে ঝাঁপ মারছিলেন কয়েক জন যুবক। প্রায় ৪০ ফুট উঁচু সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার দৃশ্য চোখ এড়ায়নি ওই বৃদ্ধার। এই দৃশ্য দেখে তাঁর চেখের সামনে যেন ছোটবেলার স্মৃতি ভেসে উঠেছিল। সেই লোভ সামলাতে না পেরে তিনিও সেতুতে উঠে পড়েন। তার পরই সোজা চলে যান সেতুর রেলিংয়ের কাছে।
এক বৃদ্ধাকে সেতুর রেলিং গলে বেরোতে দেখে ‘গেল গেল’ রব উঠে গিয়েছিল সেতুতে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে একেবারে সটান ঝাঁপ দিলেন গঙ্গায়। অনেকেই ভেবেছিলেন, এ যাত্রায় হয়তো বেঁচে ফেরা সম্ভব নয় ওই বৃদ্ধার। না, এখানেও তাঁদের সকলকে ভুল প্রমাণ করে ছাড়লেন বৃদ্ধা। ঝাঁপ দেওয়ার পর জলে ভেসে উঠে সাঁতরে দিব্যি পারে গিয়ে উঠলেন!
বৃদ্ধা তো তাঁর এই কাজের জন্য ভাইরাল হলেন, তবে কী ভাবে পুলিশের পাহারা থাকা সত্ত্বেও ওই বৃদ্ধা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু থেকে ঝাঁপ মারলেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। হরিদ্বার পুলিশের এসএসপি যোগেন্দ্র রাওয়ত জানিয়েছেন, কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই সময় সেতুতে কোন পুলিশকর্মী কর্তব্যরত ছিলেন তা-ও দেখা হচ্ছে।