প্রতীকী চিত্র।
সাত বছরের নাবালিকার উপর নারকীয় অত্যাচারের সাক্ষী থাকল কানপুর। ধর্ষণ করে খুন করার পর কেটে নেওয়া হল যকৃৎ-সহ আরও বেশ কয়েকটি অঙ্গ। যোগী-রাজ্য সম্প্রতি শিরোনামে উঠে এসেছিল হাথরাসে নারী নির্যাতনের জন্য। সেই হাথরাসের পর এবার কানপুরে ঘটল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ৭ বছরের এক নাবালিকার বিকৃত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, প্রথমে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়, তারপর খুন করে এই নৃশংস কাণ্ড ঘটানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার গ্রামের সন্তানহীন এক দম্পতি ১০০০ টাকা দিয়েছিল তাদেরই প্রতিবেশী দু’জনকে। সন্তান লাভের আশায় ওই দম্পতি কালাজাদু করতে চেয়েছিল। সেই পরিকল্পনারই অংশ পুরো ঘটনা।
আরও পডুন: ফুরফুরার পিরজাদা ত্বহার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অধীর-মান্নান
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দু’জন শনিবার রাতে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে। মত্ত অবস্থায় নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। তারপর তারা খুন করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর নাবালিকার দেহ থেকে যকৃৎ-সহ কয়েকটি অঙ্গ কেটে নিয়ে যায়। রবিবার সকালে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, কালাজাদু করার জন্যই এমন নৃশংস কাজ করা হয়েছে।
আরও পডুন: ছোটবেলা কেটেছে রামায়ণ মহাভারত শুনে, আত্মজীবনীতে লিখলেন বারাক ওবামা
চার সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে তদন্তকারীরা কাজ চালাচ্ছেন। ওই নাবালিকার প্রতিবেশী, অঙ্কুল ও বীরেনকে সন্দেহর কারণে পুলিশ আটক করেছে। তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, পরশুরাম নামে এক ব্যক্তি এই গোটা ঘটনা ঘটানোর জন্য তাদের টাকা দিয়েছিল।