ছবি: প্রতীকী।
এক দু’দিন নয়। বেশ কয়েক মাস ধরে দিনের পর দিন সাত বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন অত্যাচার করা হত। এবং সেই অত্যাচার চলত স্কুলের টিফিন পিরিয়ডে! যারা করত তারা ওই পড়ুয়ার থেকে কয়েক ক্লাস উঁচুতে পড়ে। পুলিশের কাছে এমন অভিযোগই করেছেন ওই শিশুটির বাবা। পশ্চিম দিল্লির মোতিনগরে একটি সরকারি স্কুলের ওই দুই অভিযুক্ত পড়ুয়ার মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য জন, নাবালিকা হওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (সাউথ-ওয়েস্ট) দীপেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, গত শনিবার ওই নির্যাতিতা ওই নাবালিকার বাবা ফোন করে স্কুলের দুই ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। সেখানে তিনি বলেন, দিনের পর দিন তাঁর মেয়েকে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে যৌন নিপীড়ন করা হত। বাবা ও পুলিশকে ওই শিশুটি জানিয়েছে, গত তিন-চার মাস ধরেই তার উপর যৌন অত্যাচার চালাচ্ছে অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুই দিদি। প্রথমে বাড়িতে কিছু না জানালেও শেষমেশ মা-বাবার কাছে গোটা ঘটনাটা খুলে বলে সে। পুলিশের কাছেও সে জানিয়েছে, টিফিনের সময় স্কুলের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যেত ওই ‘দিদি’রা। জোর করে তার জামাকাপড় খোলা হত। নিজেরাও পোশাকহীন হয়ে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে তার উপর যৌন অত্যাচার চালাত তারা। বাধা দিলে তাকে হুমকিও দেওয়া হত বলে জানিয়েছে সে। তবে কী সেই হুমকি, তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন
অপেক্ষায় মৃত্যু! বুঝেই বাস থামিয়ে দিলেন চালক, বাঁচিয়ে গেলেন যাত্রীদের
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি মা-বাবার সঙ্গে তারও কাউন্সিলিং করানো হয়েছে। স্কুলের অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তাঁদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে এক জন নাবালিকা হওয়ায় তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে পেশ করা হয়। এর পর তাকে পাঠানো হয় সংশোধনাগারে। নবম শ্রেণিতে পড়া অন্য অভিযুক্ত কিশোরীকে আদালতে পেশ করা হলে, তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন