প্রতীকী ছবি।
জার্মানির এক নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, শিশুদের উপর যৌন অত্যাচারের। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে বিশ্ব জুড়ে চাইল্ড পর্নোগ্রাফির এক চক্রের হদিশ পেল জার্মান পুলিশ। তাতে বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছাড়াও রয়েছে সাত ভারতীয়ের নামও। জার্মান দূতাবাসের থেকে ঘটনার কথা জানতে পেরে তদন্তে নামে সিবিআই। ওই ভারতীয়দের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।
তদন্তের খাতিরে ওই অভিযুক্তদের নাম গোপন রাখলেও সিবিআই জানিয়েছে, তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দা। সিবিআই সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা দিল্লির নিরঙ্কারি কলোনি, চেন্নাইয়ের সেলাইপুর ও ইব্রাহিম সাহিব, ফৈজাবাদের অমরনগর, সাহিবাবাদের পাসোন্দা, হাওড়ার ভট্টাচার্যপাড়া লেন এবং রাজস্থানের চোমু জেলার বাসিন্দা।
কী ভাবে এই অভিযুক্তদের হদিশ পেল সিবিআই? গত বছর সাসশে ট্রেপকে নামে জার্মানির লুবেক শহরের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে নেমে প্রথম এই চক্রের সন্ধান পায় জার্মান পুলিশ। সাসশের বিরুদ্ধে শিশুদের উপর যৌন অত্যাচারের অভিযোগ ছিল। তদন্তে নেমে তার ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ। সেখানেই তার বিরুদ্ধে শিশুদের উপর যৌন অত্যাচারের বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ মেলে। সাসশে যে চাইল্ড পর্নোগ্রাফির ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তারও প্রমাণ মেলে বলে দাবি জার্মান পুলিশের। তার ফ্ল্যাট থেকে চাইল্ড পর্নোগ্রাফির বহু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিয়ো উদ্ধার হয়। তাতে উঠে আসে সাত ভারতীয়ের নাম।
আরও পড়ুন: বীরভূমের গরমও তাঁকে কাবু করতে পারেনি
আরও পড়ুন: ‘দিদির সঙ্গে কথা বলে শান্ত হল মা’
জার্মান পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিয়ো ও ছবি ছাড়াও সাসশের মোবাইল থেকে ২৯টি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের খোঁজ মিলেছে। তার মাধ্যমেই চাইল্ড পর্নোগ্রাফির ছবি ও ভিডিয়ো সরবরাহ করা হত। সিবিআইয়ের এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘বিভিন্ন দেশের ৪৮৩ জন ওই হোয়াট্অ্যাপ গ্রুপের সদস্য ছিল। এর মধ্যে ওই সাত ভারতীয়ও রয়েছে। দেখা গিয়েছে, এক এক জন অভিযুক্ত তিনটি গ্রুপের সদস্য।’’
আরও পড়ুন: শৈশব থেকে অভিজিৎকে ভাল করে চিনি: অমর্ত্য সেন
আরও পড়ুন: বিজেপির খোঁচা পুরস্কারের দিনেই
তদন্তের পর সাসশেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিশুদের উপর যৌন অত্যাচারের দায়ে তাকে পাঁচ বছরের কারাবাসের সাজা দেয় আদালত। সাসশের বিরুদ্ধে তদন্তের পাশাপাশি গত ৩১ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে জার্মান দূতাবাস। প্রাথমিক তদন্তের পর গত মাসের শেষে অভিযুক্ত ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই।
তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শিশুদের বিকৃত যৌনকাজে লিপ্ত থাকার ছবি ইলেকট্রনিক মাধ্যমের সাহায্যে সরবরাহ করত অভিযুক্তরা। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।’’