আরটিপিসি-আর পরীক্ষায় যে সব যাত্রীর পজিটিভ ধরা পড়বে তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হবে। ছবি: পিটিআই।
কোভিডের নতুন রূপ ওমিক্রন নিয়ে কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না মহারাষ্ট্র সরকার। ওমিক্রন ছড়িয়েছে এমন ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ থেকে কোনও বিমানযাত্রী মহারাষ্ট্রে ঢুকলেই তাঁদের সাত দিনের জন্য নিভৃতবাসে থাকতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হল সে রাজ্যে।
ব্রিটেন-সহ ইউরোপের ৪৪টি দেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বৎসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইজরায়েলকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
মুম্বই বিমানবন্দর সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা বিমানবন্দরে কার্যকরী করা হবে। যাত্রীদের যে সব হোটেলে নিভৃতবাসের জন্য রাখা হবে সেই ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদেরই। এক সূত্র মারফৎ এমনটাই দাবি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে, ওমিক্রন ছড়িয়েছে এমন দেশ থেকে আগত যাত্রীদের তিন বার আরটিপিসি-আর পরীক্ষা করাতে হবে। মুম্বইয়ে পৌঁছনোর দ্বিতীয়, চতুর্থ এবং সপ্তম দিনে এই পরীক্ষাগুলি করাতে হবে।
পরীক্ষায় যে সব যাত্রীর পজিটিভ ধরা পড়বে তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং যাঁদের নেগেটিভ ধরা পড়বে তাঁদের সাত দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের একটা ঘোষণাপত্র দিয়ে জানাতে হবে, শেষ ১৫ দিনের মধ্যে কোন কোন দেশ সফর করেছিলেন তাঁরা। যাত্রীরা ঠিক বলছেন কি না তা খতিয়ে দেখবে অভিবাসন দফতর। কোনও মিথ্যা তথ্য দিলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৫ অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ ছাড়াও অন্য কোনও দেশ থেকে এলেও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক আরটিপিসি-আর পরীক্ষা করাতে হবে বিমানবন্দরে। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলে ওই যাত্রীদের দু’সপ্তাহের জন্য নিভৃতবাসে থাকতে হবে। পজিটিভ হলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে।
মহারাষ্ট্র হয়ে অন্য রাজ্যে যাওয়ার জন্য বিমানে উঠতে গেলে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের অবশ্যই আরটিপিসি-আর পরীক্ষা করা হবে। যদি ফল নেগেটিভ আসে তা হলেই বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে। অন্য রাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের অবশ্যই দু’টি টিকা নেওয়া থাকতে হবে। অথবা ৪৮ ঘণ্টা আগে করা আরটিপিসি-আর পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে হবে। সেই রিপোর্ট অবশ্যই নেগেটিভ হতে হবে।