প্রতীকী ছবি।
দেশে বেকারত্বের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ কেন্দ্রের চালু করা একটি জব পোর্টাল থেকে সম্প্রতি সেই ছবিটা সামনে এল। করোনার জেরে ইতিমধ্যে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১১ জুলাই একটি জব পোর্টাল চালু করে কেন্দ্র। দেখা যায়, ৪০ দিনের মধ্যেই ৬৯ লক্ষেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে সেখানে। কিন্তু কাজ পেয়েছেন খুবই সামান্য মানুষ।
আত্মনির্ভর স্কিলড এমপ্লয়ি এমপ্লয়ার ম্যাপিং (এএসইইএম)-এর পোর্টাল থেকে সংগৃহীত কেন্দ্রের কারিগরি মন্ত্রকের তথ্য বলছে, ১৪ থেকে ২১ অগস্টের মধ্যে ৭ লক্ষ মানুষ নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। কিন্তু কাজে যোগ দিয়েছেন মাত্র ৬৯১ জন। ৬৯ লক্ষ নথিভুক্তদের মধ্যে ১ লক্ষ ৪৯ জনকে কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কাজে যোগ দিতে পেরেছেন ৭ হাজার ৭০০ জন।
কারিগরি মন্ত্রকের এক সূত্র বলছে, দর্জি, ইলেক্ট্রিশিয়ান, ফিল্ড টেকনিশিয়ান, সেলাই মেশিনচালক, কুরিয়ার ডেলিভারি একজিকিউটিভ, নার্স, সাফাইকর্মী এবং সেলসম্যানের কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কারিগরি মন্ত্রকের তথ্য আরও বলছে, সবচেয়ে বেশি শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে কর্নাটক, দিল্লি, হরিয়ানা, তেলঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুতে। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে এ সব রাজ্যগুলোতে বহু শ্রমিক কাজে যান। কিন্তু মার্চে লকডাউন শুরু হওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরে এসেছেন।
আরও পড়ুন: রাহুলকে ঘিরে কংগ্রেসের বৈঠকে শোরগোল তুঙ্গে, নাটক প্রকাশ্যেও
এএসইইএম পোর্টালের তথ্য বলছে, ৫১৪টি সংস্থা ওই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছে। তার মধ্যে ৪৪৩টি সংস্থা ২ লক্ষ ৯২ হাজার পদের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার জনকে কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৭৩.৪ শতাংশ কাজের প্রস্তাব এসেছে লজিস্টিকস, স্বাস্থ্য পরিষেবা, ব্যাঙ্ক, বিমা এবং নির্মাণ সংস্থা থেকে।
সবচেয়ে বেশি কাজের জন্য আবেদন পড়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু এবং দিল্লি থেকে। পোর্টালে জমা পড়া মোট কাজের প্রস্তাবের মধ্যে ৭৭ শতাংশ এসেছে কর্নাটক, দিল্লি, হরিয়ানা, তেলঙ্গানা এবং তামিলনাড়ু থেকে।