শঙ্করনারায়ণ শঙ্করপান্ডিয়ান
বয়স ৬৭। তবে সেটা যে শুধুই একখানা সংখ্যা, প্রমাণ করলেন তামিলনাড়ুর এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিন নাতি-নাতনির ঠাকুরদা শঙ্করনারায়ণ শঙ্করপান্ডিয়ান এই বয়সে প্রথম চেষ্টাতেই উতরে গিয়েছেন ‘গেট’ অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েট অ্যাপ্টিচুড টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায়। বয়স আর তার সংখ্যাতত্ত্বের জটিলতায় না গিয়ে আপাতত তাঁর ইচ্ছে একটাই। স্মার্টফোনের আধুনিকতম প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করা।
গেট পরীক্ষার মোট ২৭ টি বিষয়ের মধ্যে দু’টিতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন শঙ্কর। অঙ্ক এবং কম্পিউটার সায়েন্স। দু’টি বিষয়েই উতরেছেন তিনি। অঙ্কে ৩৩৮ এবং কম্পিউটার সায়েন্সে ৪৮২ নম্বর পেয়েছেন শঙ্কর।
দেশের প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রথম স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির পরীক্ষা গেট।আইআইটিতে ভর্তির পাশাপাশি সরকারি চাকরির নিয়োগও হয় এই পরীক্ষার মাধ্যমে। শঙ্কর এবছর গেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবচেয়ে বয়স্ক পরীক্ষার্থী।
শঙ্কর জানিয়েছেন পরীক্ষা দিতে গিয়ে বয়সের জন্য রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। হলে ঢুকতে না দিয়ে তাঁকে বাইরে অভিভাবকদের অপেক্ষা করার জায়গায় চলে যেতে বলেন রক্ষীরা।
তিনি যে কোনও পরীক্ষার্থীর অভিভাবক নন নিজেই পরীক্ষার্থী তা বুঝিয়ে তবে মেলে হলে ঢোকার অনুমতি।
একসময় তামিলনাড়ুর হিন্দু কলেজে শিক্ষকতা করতেন শঙ্কর। ১৯৭৬ সালে থাঞ্জাভুরের এভিভিএম শ্রী পিষ্পম কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন।
গেট পরীক্ষায় বসার জন্য বয়সের কোনও বাধাধরা সীমা নেই। এবছরের গেট পরীক্ষায় শঙ্কর অবশ্য একমাত্র বয়স্ক পরীক্ষার্থী নন। ৮৮ বছরের এক ব্যক্তিও গেট পরীক্ষায় বসেছিলেন। তবে উতরোতে পারেননি। তিনিই এবছর গেট-এর সবচেয়ে বয়স্ক পরীক্ষার্থী। সবচেয়ে কমবয়সী গেট পরীক্ষার্থী ১৭ বছরের ঋতিকা শর্মা। তিনি অবশ্য পরীক্ষায় পাস করেছেন।