বায়ুদূষণে পশ্চিমবঙ্গে মৃত সাড়ে ছ’হাজার!

গত ন’বছরে শুধুমাত্র বায়ুদূষণে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ছ’হাজার মানুষের। কেন্দ্রের এক রিপোর্টে সামনে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেন্দ্রীয় ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা দেশে প্রতি বছর প্রায় দু’কোটি মানুষ বায়ুদূষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৫ ১১:০৫
Share:

গত ন’বছরে শুধুমাত্র বায়ুদূষণে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ছ’হাজার মানুষের। কেন্দ্রের এক রিপোর্টে সামনে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Advertisement

কেন্দ্রীয় ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা দেশে প্রতি বছর প্রায় দু’কোটি মানুষ বায়ুদূষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। শেষ ন’বছরে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের। যার ছ’ভাগের এক ভাগ কী না এ রাজ্যের বাসিন্দা! বায়ুদূষণের সরাসরি প্রভাবে মৃত্যু সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে এমনই দাবি করল কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর জানান, শ্বাসযন্ত্রে মাত্রারিতিক্ত সংক্রমণের কারণে ২০০৬-’১৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ হাজার ৬১৬ জনের। বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এর আগে বহু বার শ্বাসযন্ত্রে মাত্রারিতিক্ত সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর জন্য বায়ুদূষণকে দায়ী করলেও সরকারি ভাবে তা কখনওই মেনে নেওয়া হয়নি। বায়ুদূষণকে অন্যতম কারণ বললেও প্রধান কারণ মানতে নারাজ ছিল কেন্দ্র। এ দিনও জাভরেকর বলেন, “শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা-সহ হৃদ্‌যন্ত্রের কিছু সমস্যার জন্য অন্যতম প্রধান কারণ বায়ুদূষণ।” শিশুদের উপর বায়ুদূষণের প্রভাব নিয়ে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ এবং চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে একটি সমীক্ষাও করছে বলে জানান তিনি। বাড়তে থাকা বায়ুদূষণের জন্য ফুসফুসে সংক্রমণ, অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলে জানান মন্ত্রী।

Advertisement

বায়ুদূষণ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার?

মন্ত্রীর দাবি, “দূষণ, বিশেষত বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে জাতীয় বায়ু পরিবেষ্টকের নির্দেশ মানার জন্য নোটিস জারি করেছি। দূষণের মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে নজর রাখা হচ্ছে ১২টি উপাদানের উপরেও। সিএনজি, এলপিজির ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে।”

তবে মন্ত্রী দাবি করলেও পরিসংখ্যান কিন্তু সে কথা বলছে না। রিপোর্ট অনুযায়ী এই ক’বছরে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার মানুষের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা তালিকার ছ’নম্বরে রয়েছে রাজধানী দিল্লি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement