সাপের গ্রাম: মহারাষ্ট্রের শেতপাল গ্রামকে ‘সাপের গ্রাম’ বলা হয়। এখানে প্রতিটি বাড়িতেই কেউটে, গোখরোর মতো মারাত্মক বিষধর সব সাপ নিয়ে খেলা করে স্থানীয় শিশুরা। এই গ্রামে বসবাস করেন শ’খানেক সাপুড়ে পরিবার।
বুলেট বাবা মন্দির: রাজস্থানের পালি জেলার এই মন্দিরটি ওম সিংহ রাঠৌর নামের এক ব্যক্তির স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে। ১৯৮৮ সালের ২ ডিসেম্বর ওম সিংহের বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। শোনা যায়, এর পর বাইকটি থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও রাতে সেটি কোনও না কোনও ভাবে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেত। গাড়ির সমস্ত তেল বের করেও এই অদ্ভুত ঘটনা বন্ধ করা যায়নি। পরে দুর্ঘটনাস্থলেই তৈরি হয় মন্দির।
শনি-শিঙ্গাপুর: মহারাষ্ট্রের অহমেদনগর জেলার একটি জায়গা। এই গ্রামের কোনও বাড়িতেই দরজা নেই। শুধু বাড়িতে কেন, এলাকার দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, সরকারি বিল্ডিং— কোথাও কোনও দরজা নেই। কারণ, এখানকার মানুষের বিশ্বাস, শনি দেবতা তাঁদের রক্ষা করবেন। শোনা যায়, আজ পর্যন্ত কোনও দিন চুরি হয়নি এখানে।
যমজের শহর: কেরলের মালাপ্পুরম জেলার কোদিনহি টাউনে অন্তত ২০০ জোড়া যমজ বসবাস করেন। জানা গিয়েছে, এই এলাকার মেয়েরা অন্য জায়গায় গিয়ে বসবাস করলেও তাঁদেরও বেশির ভাগের যমজ সন্তানই হয়।
জলে ভাসমান পাথর: রামায়ণের বর্ণনা অনুযায়ী, লঙ্কা থেকে সীতাকে উদ্ধারের জন্য রামচন্দ্রের বানর সেনা সমুদ্রের জলে পাথর ফেলে সেতু বানিয়েছিল। রামচন্দ্রের নাম লেখা সেই পাথরগুলি না কি জলে ভেসেছিল। তামিলনাডুর রামেশ্বরমে এমনই ভাসমান পাথর দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই ধরনের পাথর দিয়েই সেতু তৈরি হয়েছিল।
কারনি মাতা মন্দির: রাজস্থানের বিকানের থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মন্দিরকে অনেকে ইঁদুরের মন্দির বলেও জানেন। এই মন্দিরে রয়েছে কয়েক হাজার ইঁদুর। এখানে ইঁদুরকে পুজো করা হয়।