প্রতীকী ছবি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তরপ্রদেশের হিংসার পিছনে বহিরাগত তথা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের ভূমিকা দেখছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা আজ দাবি করেছেন, উত্তরপ্রদেশে হিংসা ছড়ানোর পিছনে রয়েছে মালদহের ছয় ব্যক্তি। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর দাবি, হিংসার পিছনে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন সিমি। মালদহের ওই ছ’জন, সিমির কাছাকাছি থাকা সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে যুক্ত।
তবে ওই ছ’জন ঠিক কারা, তা নিয়ে অন্ধকারে মালদহের প্রশাসন। জেলার এসপি অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তথ্য নেই উত্তর মালদহের সাংসদ ও বিজেপি নেতা খগেন মুর্মুর কাছেও। তিনি বলেন, ‘‘মালদহের ছ’জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।’’
উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভের জেরে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২৮৮ জন পুলিশকর্মী। বিক্ষোভের সময়ে জঙ্গি তৎপরতার কথা বোঝাতে শর্মার দাবি, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৬২জন পুলিশকর্মী। নিরাপত্তা বাহিনীতে ব্যবহার হয় না, এমন অন্তত ৫০০টি খালি কার্তুজও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ‘‘এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করেছে’’— মন্তব্য করেন তিনি।
বিক্ষোভ রুখতে পুলিশি বাড়াবাড়ি নিয়ে সমালোচনা চলছে। তার মধ্যেই শর্মা জানান, যে সব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতে গ্রেফতার হওয়া বিক্ষোভকারীদের থেকেই টাকা তোলা হবে। কারা ক্ষয়ক্ষতি করেছে, সেই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে শুরু করেছে প্রশাসন। লখনউ প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির হিসেব খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি কমিটি গড়েছে।