সীমান্তে নজরদারি। —ফাইল চিত্র।
কাশ্মীর উপত্যকায় ‘মাদক-সন্ত্রাস’-এ যোগ থাকার অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে। চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে ছ’জনকে। তালিকায় রয়েছেন পাঁচ জন পুলিশকর্মী এবং এক জন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। সূত্রের খবর, ওই ছ’জনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হয়েছিল। সেই তদন্তে উঠে আসে, ওই শিক্ষক ও পাঁচ পুলিশকর্মী পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত।
এর পরই সংবিধানের ৩১১(২)(সি) অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে ওই ছয় সরকারি কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহ। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের আওতায়, রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল প্রয়োজন বোধ করলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও অনুসন্ধান ছাড়াই কোনও সরকারি কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করতে পারেন।
উল্লেখ্য, মাদক মামলায় আগেই এই ছ’জন গ্রেফতার হয়েছিল। যে পাঁচ জন পুলিশকর্মীকে ধরা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ফারুক আহমেদ শেখ, খালিদ হুসেন শাহ, রহমত শাহ, ইরশাদ আহমেদ চাকু ও সৈফ দিন। এর মধ্যে ফারুক ছিলেন হেড কনস্টেবল, বাকিরা কনস্টেবল। এ ছাড়া অপর ধৃত নাজ়ম দিন ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক।
ধৃতদের মধ্যে ওই হেড কনস্টেবল ও আরও দু’জন কনস্টেবলকে মাদক-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষকের থেকেও মাদক পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া বাকি দু’জনের মধ্যে এক জনের থেকে মিলেছিল হাওয়ালার টাকা। অন্য জনের থেকে মিলেছিল আগ্নেয়াস্ত্র। জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই উল্লেখ করেছে, “পাঁচ পুলিশকর্মী ও এক শিক্ষক মাদক বিক্রি করে জঙ্গি সংগঠনে অর্থ জোগান দিতেন বলে প্রমাণ মিলেছে।”