গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
লটারিতে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার খবর হামেশাই শোনা যায়। কিন্তু তা বলে একসঙ্গে ছয় বন্ধু কোটিপতি? এমনটাই ঘটেছে কেরলে।
সোনার দোকানের সেলসম্যান ছয় বন্ধু সমান টাকা দিয়ে দু’টি টিকিট কিনেছিলেন। তার মধ্যেই একটি জিতেছে বাম্পার প্রাইজ— ১২ কোটি টাকা। কোটিপতি হওয়ার পর তাঁরা বলছেন, টিকিট কেনার মতো প্রাইজ মানির টাকাও সমান ভাগেই ভাগ করে নেবেন ছয় বন্ধু। শুধু তাই নয়, ধার দেনা আর পারিবারিক কিছু খরচের পর কিছু টাকা দানও করবেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার যখন কেরল সরকারের লটারি বিভাগ তিরুবনম বাম্পারের বিজয়ী টিকিটের ঘোষণা করছে, রাজীবন, রমজম, রনি, বিবেক, সুবিন এবং রথীশ— ছয় বন্ধু তখন সেলসম্যানের কাজ করছেন। কোল্লম জেলার কারুনাগাপল্লির ‘চুনগাট জুয়েলারি’ নামের সোনার দোকানে ক্রেতাদের গয়নাগাটি দেখাচ্ছিলেন। টিকিটের কথা ভুলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু ড্র-এর ঘোষণা হতেই মনে পড়ে যায়। কৌতূহলবশত টিকিট মেলাতে শুরু করেন।
সেই টিকিট মেলাতে গিয়েই কার্যত দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম। বাম্পার প্রাইজ বিজেতার জায়গায় যে তাঁদের কেনা একটি টিকিটের নম্বর। প্রথমটায় বিশ্বাসই হয়নি। তাই অন্তত কয়েক বার মিলিয়ে দেখার পর নিশ্চিত হয়েছেন। যিনি টিকিট মেলাতে এসেছিলেন, তিনি বাকিদের খবর দিতে তাঁরাও ফের এক বার মিলিয়ে দেখেন। এই মেলানো এবং নিশ্চিত হতেই লেগে যায় ঘণ্টাখানেক। তার পর ছয় বন্ধু আশ্বস্ত হন যে সত্যিই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
কী বলছেন রাজীবন, রমজিন, সুবিনরা? ‘‘আমরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমরা কোটিপতি। আমরা ছ’জন সমান টাকা দিয়ে এই দুটো টিকিট কিনেছিলাম। প্রথম দিকে অবশ্য আমরা তিন জনই আগ্রহী ছিলাম। তাই বুধবারই আমরা তিন জন একটা টিকিট কিনি। কিন্তু যেহেতু বৃহস্পতিবার খেলা ছিল, তাই আরও একটা টিকিট কিনতে চাইছিলাম। তখন আরও তিন বন্ধুকে বলি। শেষ পর্যন্ত সবার সমান টাকা দিয়ে রনি আরও একটা টিকিট কিনে আনে। আমার কাছেই টিকিটটা রেখেছিলাম। এক জন বলার পর বিশ্বাসই হয়নি। তার পর আমরা সবাই মিলে টিকিট মিলিয়ে দেখি। আমরা কাছের এসবিআই-তে জমা দিয়ে এসেছি’’,— এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে গেলেন সুবিন।
আরও পড়ুন: রাজীবকে ধরতে বিশেষ কন্ট্রোলরুম খুলল সিবিআই, স্ত্রীর সঙ্গে কথা, আজও জারি তল্লাশি
আরও পড়ুন: কথা বলেই ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম, কড়া বিবৃতি দিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ ওড়ালেন রাজ্যপাল
অন্য এক জন বলেন, ‘‘প্রাইজের টাকাও সমান ভাবে ভাগ করে নেব আমরা। সবকিছু বাদ দিয়েও এক এক জন এক কোটি টাকার বেশি পাব। আমাদের সবারই কিছু কিছু দেনা এবং পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেগুলো মেটানোর পর কিছু টাকা গরিবদের দানও করব।’’
কেরলের লটারি বিভাগ সূত্রে খবর, প্রথম পুরস্কার বিজেতা সব কিছু বাদ দেওয়ার পর সাড়ে সাত লক্ষ টাকা পাবেন। শ্রীমুরুগা লটারি এজেন্সি কমিশনও পাবে এক কোটি টাকার বেশি। তিরুবনম বাম্পারের অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ৫০ লক্ষ (১০টি টিকিট) টিকিট এবং ১০ লক্ষ টাকা (২০টি টিকিট)।