তিন দশক পর ফের বফর্সের ভূতকে বের করে এনে গাঁধী পরিবারকে কোণঠাসা করতে চাইছে বিজেপি। আজ সংসদে এই নিয়ে দিনভর হাঙ্গামার জেরে ছ’জন কংগ্রেস সাংসদকেও পাঁচ দিনের জন্য সাসপেন্ড করে দিলেন স্পিকার।
সপ্তাহ দেড়েক আগে সংসদীয় কমিটি ফের বফর্স তদন্ত শুরু করার জন্য সিবিআই-কে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে বলে। আর আজ লোকসভায় বিজেপি সাংসদরা অভিযোগ করেন, সুইডেনে বফর্সের তদন্তকারী অফিসার স্টেন লিন্ডস্ট্রমের কাছে রাজীব গাঁধী ও সুইডেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওলফ পামের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের তথ্য আছে। এ নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। যা শুনে রাহুল গাঁধীর মন্তব্য, ‘‘ওঁরা ৩০ বছর ধরে এই বিষয় তুলে চলেছেন, আরও ৩০ বছর তুলতে থাকুন।’’
শাসক দল যখন বফর্স নিয়ে হল্লা করছে, তখন ওয়েলে নেমে কংগ্রেস সাংসদরা গোরক্ষকদের তাণ্ডব নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন। কাগজ ছিড়ে ফেলেন। যার জেরে অধীর চৌধুরী, সুস্মিতা দেব, গৌরব গগৈ-সহ ৬ কংগ্রেস সাংসদকে আগাম হুঁশিয়ারি ছাড়াই সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার। অভিযোগ, এঁরা ‘সরকারি’ কাগজ ছিড়েছেন। এটি বড় অপরাধ।
প্রশ্ন হল, বফর্স নিয়ে হল্লা করে শাসক দল কেন সংসদ অচল রাখছে? বিজেপি শিবিরের মতে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের ঐক্য হয়নি। কিন্তু এখন তারা ফের একজোট হচ্ছে। কৃষি নিয়ে যৌথ-সভার তোড়জোড় চলছে। কাশ্মীর, চিন সীমান্ত নিয়েও সরকার বিপাকে। মোড় ঘোরাতে তাই বফর্স হামলা।
কিন্তু কংগ্রেস জানে, বফর্স মামলায় আর হওয়ার কিছু নেই। বিজেপি শুধু হাওয়ায় অভিযোগ করে জল মাপছে। তাই সনিয়া-রাহুলও আজ রণং দেহি।