—প্রতীকী চিত্র।
চার দিন আগে অপহরণ করা হয়েছিল পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে। বাবার কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল ছ’লক্ষ টাকা। কিন্তু টাকার জোগাড় হয়নি। শুক্রবার ওই শিশুকন্যার দেহ গ্রামেরই মাঠের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করে হয়েছে শিশুর কাকা-সহ দু’জনকে। আগ্রার ফরহেরা গ্রামের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পল্লবী সিংহ নামে বছর পাঁচেকের এক শিশু বাড়ির সামনে খেলতে খেলতে উধাও হয়ে যায়। প্রতিবেশীদের বাড়িতেও তাকে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে ওই শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। শিশুর বাবার কাছে মু্ক্তিপণ চাওয়া হয় ছ’লক্ষ টাকা। তদন্তে নেমে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু শুক্রবার উদ্ধার হয় ওই শিশুর দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুনের পর বাচ্চাটিকে মাটিতে পুঁতে দেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন মৃত শিশুর পরিবারেরই সদস্য। অন্য জনও পূর্বপরিচিত। তাঁরা খুনের পর ওই পরিবারের সঙ্গে শিশুটিকে খোঁজার ভান করতে থাকেন। ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম অমিত সিংহ এবং নিখিল কুমার। অমিত মৃত শিশুর কাকা। নিখিল অমিতের বন্ধু। দু’জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৪এ, ৩০২ এবং ২০১ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ডিসিপি অতুল শর্মা বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা মেয়েটিকে গ্রামেরই একটি মাঠে পুঁতে দিয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে বাচ্চাটিকে খোঁজার ভান করেছিল।’’ প্রাথমিক তদন্তের পর তিনি আরও বলেন, ‘‘অমিত একটি পোশাকের দোকান করেছিলেন। তার জন্য ৫০ হাজার টাকা ধার করেছিলেন। ওই ধারের টাকা সুদে-আসলে হয় দু’লক্ষ টাকা। ঋণ মেটানোর নানা চেষ্টা করেও কোনও পথ পাননি। শেষমেশ বন্ধুর সঙ্গে যুক্তি করে দাদার মেয়েকে অপহরণ করেন।’’