প্রতিবাদে এফটিআইআই-এর পড়ুয়ারা। ছবি: পিটিআই।
মধ্য রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশি অভিযান নিয়ে উত্তাল পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট। অফিসে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে পড়ুয়ারা, এই অভিযোগে কাল পুলিশের দ্বারস্থ হন এফটিআইআইয়ের ডিরেক্টর প্রশান্ত পাথরাবে। গভীর রাতেই ক্যাম্পাসে পৌঁছে যায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় আন্দোলনকারী ৫ ছাত্রকে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে তোলা হলে অবশ্য জামিন পেয়ে যান সকলেই।
মাঝ রাতে পুলিশের এই তৎপরতা প্রসঙ্গে উঠে আসছে ২০০৫-এর পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনরত ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশের লাঠি চালনার ঘটনা। পুণের মতো যাদবপুরের পড়ুয়ারাও পুলিশি ধড়পাকড়ের শিকার হয়েছিলেন মাঝ রাতে। তবে এ বার আর আগের মতো পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠেনি। এফটিআইআইয়ের পরিচালন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে বিজেপি ঘনিষ্ঠ গজেন্দ্র চৌহানকে মানতে নারাজ পড়ুয়ারা। তাঁদের প্রতিবাদ আন্দোলন আজ ৭০ দিেন পড়ল। কালকের ঘটনা নিয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠকে তীব্র নিন্দা করেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের নির্দেশে ডিরেক্টর এ ভাবেই তাঁদের মনের জোর নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে ডিরেক্টর জানান, মঙ্গলবার রাতে এক দল ছাত্র অফিস তছনছ করার সঙ্গে অপমান, হুমকি এমনকী ধাক্কাধাক্কিও করে। কয়েকটি অসম্পূর্ণ প্রোজেক্টে কেন মূল্যায়ন হচ্ছে, সেই জবাবদিহিও চাওয়া হয় তাঁর কাছে। এ সব সহ্য করতে না পেরেই ১৫ জনের নামে এফআইআর করেন তিনি। ডিরেক্টরের অভিযোগ মানেননি পড়ুয়ারা। তাঁরা বলেন, ‘‘ভিডিও আছে যে ভাঙচুর করছে সাদা পোশাকের পুলিশ।’’ ছেলেমেয়েদের এই দীর্ঘ লড়াই আর দেখতে পারছেন না মা-বাবাও। কাল গ্রেফতার হওয়া ছাত্র রাজু বিশ্বাসের বাবা বিষ্ণু বিশ্বাসের কথায়, মানসিক অবসাদ তৈরি হচ্ছে। সমস্যার
সুরাহা করতে এগিয়ে আসুক কেন্দ্রীয় সরকার— চাইছেন অভিভাবকেরাও।
এ দিনই তিন সদস্যের এক প্যানেল গঠন করেছে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে খুব তাড়াতাড়ি ওই প্রতিষ্ঠানে যাবেন তাঁরা। দাগি অপরাধীর মতো
ক্যাম্পাস থেকে রাতে কেন পড়ুয়াদের ধরা হল, আজ সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গাঁধী। টুইটারে মোদী
সরকারকে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘নীরবতা। সাসপেন্ড। গ্রেফতার: অচ্ছে দিনের মোদী মন্ত্র।’’ টুইটারকে হাতিয়ার করেছেন কেজরীবালও। পুণেতে জায়গা না হলে দিল্লিতে আন্দোলনকারীদের জন্য ক্লাসের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।