প্রতীকী ছবি।
শিশু পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো এবং ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ৪১ জনকে গ্রেফতার করল কেরল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে আইটি সংস্থায় কর্মরত বেশ কয়েক জন রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউনের সময় এই ভিডিয়ো ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়তেই অপারেশন পি হান্ট ২০.২ নামে একটি তদন্ত অভিযান শুরু করে পুলিশ। রবিবার রাজ্যের ৩৬২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান পুলিশের সাইবার সেলের আধিকারিকরা। সেখান থেকেই ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছেন তাঁরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্ক-সহ বেশ কিছু প্রযুক্তি সরঞ্জাম।
এক বিবৃতি জারি করে পুলিশ জানিয়েছে, এর্নাকুলাম থেকে গ্রেফতারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া তিরুঅনন্তপুরম, মালাপ্পুরম থেকেও বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ভিডিয়ো ও ছবি শেয়ার করার জন্য অভিযুক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ার এনক্রিপ্টেড অ্যাপগুলোকেই বেছে নিয়েছে। হোয়াট্সঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম এবং টেলিগ্রামের মতো ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে গ্রুপ তৈরি করে তাতে শেয়ার করেছে ছবি ও ভিডিয়ো। পুলিশের যাতে সন্দেহ না হয় গ্রুপের নামগুলোকে সে ভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন, অভিযুক্তরা একটা গ্রুপের নাম দিয়েছিল ‘করোনা লাইফ’, আবার মালায়লম সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রের নামেও গ্রুপ খোলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অলওয়ার গণধর্ষণ-কাণ্ডে আমৃত্যু কারাবাস চার অভিযুক্তের
পুলিশের সন্দেহ ধৃতদের মধ্যে অনেকেই শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িত। তাদের থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলে বেশ কিছু কথোপকথন তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার সঙ্গে হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের জড়িয়ে থাকার সম্ভবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।