প্রতীকী ছবি।
নাগাল্যান্ড পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তা তথা বর্তমান পরিবহণ উপদেষ্টা এম কে রাজেন্দ্র পিল্লাইয়ের কোচির বাড়ি ও দফতরে তল্লাশি চালিয়ে হিসেব বহির্ভূত ৪০০ কোটি টাকা উদ্ধার করল আয়কর দফতরের গোয়েন্দা শাখা।
১৯৭১ সালে নাগাল্যান্ডের মককচং জেলায় কনস্টেবল হিসেবে কাজ যোগ দেন পিল্লাই। ২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতি পদক পাওয়া পিল্লাই ২০১১ সালে ডিএসপি হিসেবে অবসর নেন। তৈরি করেন শ্রীবালাসাম গ্রুপ নামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি নাগাল্যান্ড পুলিশের পরিবহণ বিভাগে উপদেষ্টা পদে এখনও নিযুক্ত তিনি। নোট বাতিলের সময়, নভেম্বরে পিল্লাই ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ঘোষণা করার পরেই আয়কর দফতরের নজর তাঁর উপরে পড়ে।
গোপন তদন্তে জানা যায়, তেমন উঁচু মাপের দক্ষতার পুলিশকর্তা না হলেও সরকারের মাথাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা আছে। শ্রীবালাসাম গ্রুপের বস্ত্র, গয়না, স্কুল, রিসর্টের ব্যবসা রয়েছে। এ সবের পিছনে পিল্লাই ও তাঁর ছেলেরা বেআইনি লেনদেনে জড়িত সন্দেহ করে আয়কর দফতর একই সঙ্গে তাদের কেরল, কর্ণাটক, নাগাল্যান্ড ও দিল্লি মিলিয়ে প্রায় তিরিশটি দফতর ও পিল্লাইয়ের একাধিক বাড়িতে হানা দেয়। কোচিতে পিল্লাইয়ের বাড়ি থেকে মেলে ৪০০ কোটির বেশি নগদ টাকা। যার উৎস বা হিসেব দেখাতে পারেননি পিল্লাই ও তাঁর ছেলেরা। তাঁদের জেরা করা চলছে।
আরও পড়ুন: মন্দসৌরে নিহত আরও ১ কৃষক, বিক্ষোভ অন্যত্রও
নাগাল্যান্ডের ডিজিপি এল এল ডউঙ্গেল জানান, পিল্লাই ছুটি নিয়ে কেরলে আছেন। পরের সপ্তাহে তাঁর কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এত টাকা তাঁর বাড়িতে কোথা থেকে এল, এ বিষয়ে ডিজিপি-ও বিস্মিত। পিল্লাই কাজে যোগ দিলে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি জানান।
কনস্টেবল থেকে ডিএসপি হওয়া এক পুলিশকর্মী কী ভাবে শুধু কেরলেই ২০০ কোটির সম্পত্তি, এতগুলি রিসর্ট, পাঁচটি গয়নার শো-রুম, সোনা ঋণের ৫০টি শাখা-সহ দেশের বিভিন্ন অংশে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা সম্প্রসারিত করলেন- তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।