১৭ ঘণ্টার কঠিন সফরের নেতৃত্বে ক্যাপ্টেন জ়োয়া আগরওয়াল। ডান দিকে, আর এক পাইলট থান্মাই পাপাগড়ী। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
সান ফ্রান্সিসকো থেকে উত্তর মেরু পেরিয়ে বেঙ্গালুরু। প্রায় ১৬ হাজার কিলোমিটারের এই পথে যাত্রা শুরু করল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি নন স্টপ বাণিজ্যিক উড়ান। ১১ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে সেটি। আর সেই কঠিন পথে ককপিটে রয়েছেন চার মহিলা পাইলট! যা সংস্থার ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর মেরুর উপর দিয়ে বিমান চালানো বেশ কঠিন। এই পথে সফরের জন্য দক্ষ এবং অভিজ্ঞ পাইলটদেরই ককপিটে বসার অনুমোদন দেয় উড়ান সংস্থাগুলি। ১৭ ঘণ্টার কঠিন সফরে নেতত্বে থাকছেন ক্যাপ্টেন জ়োয়া আগরওয়াল। তিনি মুখিয়ে ইতিহাস তৈরি করতে।
২০১৩ সালে সর্বকনিষ্ঠ মহিলা পাইলট হিসেবে বোয়িং ৭৭৭ উড়িয়েছিলেন জ়োয়া। এ বারের ঘটনাও নয়া পালক জুড়ল তাঁর মুকুটে। এয়ার ইন্ডিয়ার প্রথম মহিলা কমান্ডার হিসেবে উত্তর মেরু পেরোবেন জ়োয়া। জ়োয়ার কথায়, ‘‘বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই জীবনে উত্তর মেরু দেখেননি, এমনকি মানচিত্রেও। বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এবং সংস্থা আমার উপরে যে ভরসা দেখিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ উড়ানপথে বোয়িং ৭৭৭-২০০ এলআর-কে নেতৃত্বে দেওয়া এক পরমপ্রাপ্তি। যে কোনও পেশাদার পাইলটের কাছে এ যেন স্বপ্নপূরণ!’’ ক্যাপ্টেন থান্মাই পাপাগড়ী, আকাঙ্ক্ষা সোনাওয়ানে এবং শিবানী মানহাসও থাকছেন জ়োয়ার সঙ্গে ককপিটে।
উড়ান বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, উত্তর মেরুর উপর দিয়ে বিমান চালাতে হলে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়েও প্রশ্নাতীত দক্ষতা থাকা আবশ্যক পাইলটের। জ়োয়া বলেন, ‘‘উত্তর মেরু পেরোনোর সময়ে কম্পাসের কাঁটা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরছে, সেই কথা ভাবলেই রোমাঞ্চ হচ্ছে।’’ পাশাপাশি নিজের আত্মবিশ্বাসও সমস্ত মহিলাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। জ়োয়ার কথায়, ‘‘যে কোনও ধরনের সামাজিক চাপেই নিজের উপর বিশ্বাস রাখা উচিত মেয়েদের। কোনও কাজ অসম্ভব নয়।’’