প্রতীকী ছবি।
বিহার বিধানসভার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বাকি ৬৪টি বিধানসভা এবং একটি লোকসভার উপনির্বাচনের ভবিষ্যৎ আগামিকাল, মঙ্গলবার কমিশনের বৈঠকের পরে স্থির হবে। তবে কয়েক মাসের জন্য আর উপনির্বাচন না করার মনোভাবই ব্যক্ত করেছে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন থাকা তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং কেরল। এই বিষয়টি বিবেচনার জন্য নির্বাচন সদনকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। সেক্ষেত্রে, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি উপরে চার রাজ্য গুরুত্ব আরোপ করেছে বলে খবর।
আগামী ২৪ মে মেয়াদ শেষ হবে তামিলনাড়ু বিধানসভার। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মেয়াদ ফুরোবে ওই মাসের ৩০ তারিখে। ৩১ মে অসমে শেষ হবে বিধানসভার মেয়াদ। আর ১ জুন কেরল এবং ৮ জুন পুদুচেরি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সঙ্গে ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর কথা উল্লেখ করেছে তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং কেরলের প্রশাসন। একই ভাবে তা জানিয়েছেন এই সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দফতরও। তামিলনাড়ুর তিরুবত্তিয়ুর ও গুডিয়ত্তম, পশ্চিমবঙ্গের ফালাকাটা, অসমের শিবসাগর এবং কেরলের কুট্টানাড ও চেভারা বিধানসভা উপনির্বাচন হওয়ার কথা। কেরলে উপনির্বাচন না করার পক্ষে সওয়াল করে ঐক্য দেখিয়েছে সেখানকার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি। তাঁদের তরফেও কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কেরলের রাজনৈতিক দলগুলির মতে, খাতায় কলমে মাত্র কয়েক মাসের জন্য করোনার মধ্যে অতিরিক্ত খরচ করে নির্বাচন করে লাভ কতটা! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরদের অনেকে তেমনই কথা বলছেন। তাঁদের মতে, জিতে আসতে না আসতেই কার্যত বিধানসভার ভোটের প্রস্তুতি নিতে হবে উপনির্বাচনের জয়ী প্রার্থীকে।
নিয়মানুসারে, কোনও আসন শূন্য হলে তার ছ’মাসের মধ্যে সেখানে ভোট করতে হয়। তবে এ বার করোনার জন্য নজিরবিহীন পরিস্থিতির কারণেই সেই নিয়ম কার্যকরী হয়নি। আর কোনও বিধানসভা বা লোকসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে আসন শূন্য হলে ভোট করতে হয় না। তবে এক বছরের বেশি সময় থাকলে ভোট করতে হয়।
আগামী বছর ভোট হওয়া চার রাজ্যের পাশাপাশি গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার তরফেও এখনই ভোট না করার পক্ষেই মত দিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের থেকে আসা মতামত নিয়ে আগামিকাল, মঙ্গলবার বৈঠক করার কথা সেক্রেটারি জেনারেল উমেশ সিন্হার নেতৃত্বে কমিশনের আধিকারিকদের। তবে কমিশনের অনেকের যুক্তি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় তা যেমন ঠিক, তেমনই আবার আইন মানতে হবে। এই দুইয়ের মাঝে সমাধান সূত্র খুঁজে বের করা দেশের সর্বোচ্চ নির্বাচন পরিচালক সংস্থার কাছে চ্যালেঞ্জ বলে মত ভোট বিশেষজ্ঞদের অনেকের।