জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি সিন্ধারা এলাকায়। ছবি: পিটিআই।
রাতভর গুলির লড়াইয়ে চার জঙ্গিকে খতম করল সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী। সোমবার রাত তখন ১১টা। গোপন সূত্রে সেনা খবর পায়, পুঞ্চের সিন্ধারা এলাকায় বেশ কয়েক জন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছেন। সেই খবর পেয়েই ওই এলাকায় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তল্লাশি অভিযানে যায় যৌথবাহিনী।
রাতের অন্ধকারে জঙ্গিদে খুঁজে বার করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন নজরদারি ক্যামেরা, ড্রোন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সিন্ধারা এলাকা যৌথবাহিনী ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানোর সময় তাদের লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করেন। থেমে থেমে বিভিন্ন দিক থেকে গুলি ছুটে আসছিল যৌথবাহিনীর দিকে। ফলে নিশানা করতে সমস্যা হচ্ছিল।
সেনা সূত্রে খবর, ওই অন্ধকারে জঙ্গিরা লুকিয়ে থেকে বিভিন্ন দিক থেক গুলি চালাচ্ছিল। তাঁদের চিহ্নিত করতে নজরদারি ক্যামেরার পাশাপাশি ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হয়। তার পর খুঁজে খুঁজে এক এক করে চার জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এই দলে আর কোনও জঙ্গি ছিল কি না, তা খুঁজে দেখছে যৌথবাহিনী। সোমবার রাতভর গুলির লড়াই এবং মঙ্গলবার সকালেও জঙ্গিদের খোঁজে সিন্ধারা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা।
সেনা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নিহত জঙ্গিদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলে এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি মুকেশ সিংহ জানিয়েছেন, এই গুলির লড়াই সুরানকোট জেলার সিন্ধারায় হয়েছে। এই অভিযানে ড্রোন ব্যবহার করে জঙ্গিদের খুঁজে খুঁজে মারা হয়েছে। প্রযুক্তির সাহায্যে নেওয়ায় জঙ্গিদের সহজেই খুঁজে বার করে সম্ভব হয়েছে।
এখন অমনরনাথ যাত্রা চলছে। সেই সময় এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সেনা। তাদের ধারণা, অমরনাথ যাত্রায় হামলা চালানোর ছক ছিল এই জঙ্গিদের। যে এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়েছে, সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা ২০ কিলোমিটার দূরে। এই এলাকা দিয়ে হামেশাই জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু বর্তমানে এই এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানোয় অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে বলে দাবি এক সেনাকর্তার।