প্রতীকী ছবি।
আরও চারটি মাঝারি মাপের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণ করতে চলেছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্র মারফৎ এমনটাই দাবি করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সরকারি আধিকারিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে জানিয়েছেন, যে চারটি ব্যাঙ্ককে এই তালিকায় রাখা হয়েছে, সেগুলো হল— ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক।
ওই সূত্র আরও জানাচ্ছে যে, নির্বাচিত চারটি ব্যাঙ্কের মধ্যে দুটো ব্যাঙ্ককে ২০২১-২২ অর্থবর্ষেই বিক্রি করা হতে পারে। তবে কোন দুটো ব্যাঙ্ক, তা জানায়নি ওই সূত্র। মাঝারি এবং ছোট ব্যাঙ্কগুলোকে বেসরকারিকরণ করে ‘জল মাপতে’ চাইছে মোদী সরকার। এই বিষয়ে ভাল সাড়া পাওয়া গেলে বড় মাপের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলো নিয়েও সরকার ভাবনাচিন্তা শুরু করবে বলেও ওই সূত্রের দাবি। তবে অর্থমন্ত্রকের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এমনিতেই ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ নিয়ে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি কেন্দ্রকে। এর আগে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ করে তারা। ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা ২৭ থেকে ১২-তে নেমে এসেছে। ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণের বোঝা কমাতে এবং ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে সংস্কারের এটা আরও একটা ধাপ। সূত্রের খবর, করোনার জেরে দেশের অর্থনীতি ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। প্রভাব পড়েছে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রেও। অনাদায়ী ঋণের বোঝা বেড়েছে। যা এই ধরনের পদক্ষেপ করতে সরকারকে ‘উৎসাহিত’ করছে।
ওই সূত্র আরও জানাচ্ছে, বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তে যে কর্মী সংগঠনগুলোর তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন আধিকারিকরা। এ বিষয়ে সরকারের কাছে আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলোর হিসেবে, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া-য় বর্তমানে ৫০ হাজার কর্মী কাজ করেন। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে রয়েছে ৩৩ হাজার কর্মী। এ ছাড়া ওভারসিজ ব্যাঙ্কে ২৬ হাজার এবং ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রে ১৩ হাজার কর্মী কাজ করেন। সূত্রের খবর, বেসরকারিকরণের বিষয়ে সব কিছুই নির্ভর করছে কর্মী, ব্যাঙ্ক সংগঠন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর।