National news

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে এই প্রথম হাজির নেতাজির চার সেনানী

একটি খোলা জিপে বসে জনতার অফুরন্ত অভিবাদনও গ্রহণ করলেন ভাগমলেরা। তাঁদের জিপের সামনে মার্চ করতে করতে এগিয়ে গেলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৭
Share:

একটি খোলা জিপে বসে জনতার অফুরন্ত অভিবাদনও গ্রহণ করলেন ভাগমলেরা। ছবি: সংগৃহীত।

১০০ বছরের ভাগমলের কাছে এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসটা যেন খানিকটা অন্য রকমের ছিল। প্রতি বছরের মতো টেলিভিশনের পর্দায় প্যারেড দেখে নয়, বরং এ বার তিনি নিজেই ছিলেন প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের অঙ্গ।

Advertisement

ভাগমলের মতোই তাঁর এক কালের আরও তিন সঙ্গীও এ বার একই পথের শরিক। প্যারেডের অন্যতম আকর্ষণও বটে। শনিবার, ৭০তম প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীর জনপথে এই চার জন মিলে জনতার নজর কেড়েছেন। কারণ, এই প্রথম ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ)-র চার সদস্য রাজধানীর বুকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিলেন।

একটি খোলা জিপে বসে জনতার অফুরন্ত অভিবাদনও গ্রহণ করলেন ভাগমলেরা। তাঁদের জিপের সামনে মার্চ করতে করতে এগিয়ে গেলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা। হরিয়ানার মানেসরের বাসিন্দা শতায়ু ভাগমলের মতোই আইএনএ-র হয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন পঞ্চকুলার ললতি রাম। এই ৯৮ বছর বয়সেও প্যারেড উপভোগ করেছেন তিনি। হরিয়ানারই নারনৌলে থাকেন আইএনএ-র আর এক সদস্য ৯৭ বছরের হীরা সিংহ। হীরা সিংহের মতোই চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা পরমানন্দ যাদবেরও উৎসাহে যেন খামতি পড়েনি। এঁদের সকলের কাছেই এ বছরটা তাই যেন একটু অন্য রকমের।

Advertisement

আরও পড়ুন: নারী শক্তিই প্রতীক হয়ে উঠল দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে

রাজধানীর বিজয় চক থেকে ২২টি ট্যাবলো-সহ প্যারেড এগিয়েছে রাজপথ ধরে। ছবি: পিটিআই।

আইএনএ-র জন্ম হয়েছিল ১৯৪২-এ। সে বছর রাসবিহারী বসু এর সূচনা করেন। এর পর স্বাধীনতার লড়াইয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংঘাতে নামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন আইএনএ-র সেনানীরা।

আরও পড়ুন: প্রথমে চিনকে সমর্থন, এ বার ফাঁকা মাঠে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন মিজোরামে

এ দিন রাজধানীর বিজয় চক থেকে ২২টি ট্যাবলো-সহ প্যারেড এগিয়েছে রাজপথ, তিলক মার্গ, বাহাদুর শাহ জাফর মার্গ, নেতাজি সুভাষ মার্গ ধরে রেড ফোর্ডের দিকে। প্রায় ৯০ মিনিট ধরে চলে সে প্যারেড।

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে দেখা গিয়েছে বহু ট্যাবলো। ছবি: পিটিআই।

তবে শুধুমাত্র চার জন আইএনএ সদস্য কেন অংশ নিলেন এ বারের প্যারেডে? প্যারেড ডেপুটি কম্যান্ডার মেজর জেনারেল রাজপুত পুনিয়া বলেন, “আইএনএ-র জীবিত সদস্যদের খুঁজে বার করাটাই বেশ কষ্টসাধ্য ছিল।” তিনি আরও বলেন, “ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আইএনএ-র সেনানীদের। ফলে তাঁরা আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গেও জড়িত।” এ দিন ভারতীয় ঐতিহ্যের এক জীবন্ত ইতিহাসকে যেন সম্যক করলেন প্যারেডে উপস্থিত থাকা উৎসাহীরা।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement