প্রতীকী চিত্র
দিল্লির বুরারির পর কেরলের ইদুক্কি জেলা। তন্ত্রসাধনার বলি একই পরিবারের চার সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে সেই রকম ইঙ্গিতই পাচ্ছে পুলিশ।
গ্রামের কারও সঙ্গে মেলামেশা করতো না ইদুক্কি জেলার থোডুপুঝা গ্রামের কৃষ্ণন পরিবার। দিনে একবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক প্রতিবেশীর কাছে দুধ নিতে যেতেন পরিবারের কোনও একজন। কিন্তু পরপর তিনদিন দুধ নিতে না আসায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীর। তখনই তিনি বাকিদের সতর্ক করেন। গ্রামের লোক এসে বাড়িতে কাউকে খুঁজে না পেলেও মেঝেতে মেলে রক্তের দাগ। পরে পুলিশ এসে বাড়ির পেছনেই একটি গর্ত খুঁজে পায়। সেখান থেকেই বেরোয় পরপর চারটি মৃতদেহ।
মৃতেরা হলেন গৃহকর্তা কনত কৃষ্ণন (৫২), তাঁর স্ত্রী সুলেখা (৫০), তাঁদের মেয়ে আরসা (২১) ও ছেলে অর্জুন (১৮)। মৃতদেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য কোট্টয়ম মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
ইদুক্কি জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি মৃতদেহতেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত মিলেছে। মৃতদেহগুলি একটি আরেকটির ওপর সাজানো ছিল।
আরও পড়ুন: বুরারির ঘটনায় তান্ত্রিক-যোগ আছে, ধারণা বিশেষজ্ঞের
খুন নাকি তন্ত্রসাধনার বলি এই চারটি প্রাণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিন্তু তন্ত্রের যোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, তিন বছর আগে তন্ত্রসাধনার অভিযোগে গৃহকর্তা কনত কৃষ্ণনকে আটক করেছিল পুলিশ। মৃতের দাদাও স্বীকার করেছেন, তাঁর ভাই ব্ল্যাক ম্যাজিক বা তন্ত্রসাধনার চর্চা করতেন।
আরও পড়ুন: ৬০-এও তরতাজা নাসা!নাসা সম্বন্ধে যে তথ্যগুলো চমকে দেবে আপনাকে
গত কয়েক মাসে দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে ব্ল্যাক ম্যাজিক বা তন্ত্রসাধনায় মৃত্যুর ঘটনা। জুলাই মাসে দিল্লির বুরারিতে বলি হয়েছিলেন ১১ জন। তারপর হাজারিবাগে একই পরিবারের ৬ সদস্য বলি হয়েছিলেন ব্ল্যাক ম্যাজিকের। উত্তর ও পূর্ব ভারতের পর এবার ব্ল্যাক ম্যাজিক থাবা বসাল দেশের দক্ষিণেও।