রাহুল গাঁধী—ফাইল চিত্র।
ভোটের আগে বড় ধাক্কা কেরল কংগ্রেসে। রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে রাহুল গাঁধীর লোকসভা কেন্দ্র ওয়ানাড় থেকে দল ছাড়লেন ৪ নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, কেরলের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য কেকে বিশ্বনাথন, কেপিসিসি সম্পাদক এমএস বিশ্বনাথন, জেলা কংগ্রেস কমিটি (ডিসিসি)-র সাধারণ সম্পাদক পিকে অনিল কুমার এবং মহিলা কংগ্রেস নেত্রী সুজয়া বেণুগোপাল। আগামী ৬ এপ্রিল কেরলে ভোট। এক দফাতেই ভোট হবে সেখানে। সম্প্রতি কেরলে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন রাহুল। তিনি ফেরার পরই তাঁরই লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৪ নেতা পদত্যাগে ভোটের আগেই প্রকাশ্যে চলে এল কেরল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব। যা স্বাভাবিক ভাবেই ভোটে ছাপ ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারীরা। একই সঙ্গে এই ঘটনা ভোটের আগে রাহুলের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিল।
এমএস বিশ্বনাথন ইস্তফা দেওয়া প্রসঙ্গে দলের নেতৃত্বকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “কেপিসিসি নেতৃত্বের অবহেলা এবং জেলা কংগ্রেস কমিটির ব্যর্থতার কারণেই কেপিসিসি-র সম্পাদক এবং প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।” তাঁর অভিযোগ, ওয়ানাড়ে দল চালাচ্ছে ৩ সদস্যের কমিটি।
ওয়ানাড় থেকে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। এমনিতেই কংগ্রেসের জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব নিয়ে অভিযোগ উঠছে দীর্ঘ দিন ধরেই। বিশেষ করে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলের অন্দরেই বেশ কিছু প্রবীণ নেতা নেতৃত্ব বদলের পক্ষে সওয়াল করেন। যা নিয়ে এখনও চাপানউতর চলছে কংগ্রেসের অন্দরে। দলের নেতৃত্ব কার হাতে তুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনও দিশাহীন কংগ্রেস শিবির। গত লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানাড় থেকে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন রাহুল। সেই ওয়ানাড় কেন্দ্র থেকেই বিধানসভা ভোটের আগে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আঙুল ওঠায় চরম অস্বস্তিতে পড়ল কংগ্রেস। যদিও তড়িঘড়ি এই ক্ষত মেরামত করার জন্য ময়দানে নেমেছে দল। সমস্যা সমাধানে সুধাকরণ-সহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ নেতাকে পাঠানো হয়েছে ওয়ানাড়ে।
পিকে অনিল কুমার ইতিমধ্যেই লোকতান্ত্রিক জনতা দল (এলজেডি)-এ যোগ দিয়েছেন। বাকিরাও কি অন্য দলে নাম লেখাবেন, সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক শিবির।