রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দলের ক্ষমতা দখল ও রামদেবকে পতঞ্জলী আশ্রম খোলার জন্য রাজ্যে ৩৮০০ হেক্টর জমি দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পরেশ বরুয়ার সংগ্রামপন্থী আলফা। পাশাপাশি, আলোচনাপন্থী আলফার মতে বিজেপি ক্ষমতায় আসায় শান্তি আলোচনা দ্রুত এগোবে।
বর্তমানে সব শহরে ও বাণিজ্যকেন্দ্রে জমির অধিকার ভূমিপুত্রদের হাত থেকে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই জমির প্রশ্নেই নতুন সরকারকে তুলোধোনা করেছে পরেশপন্থী আলফা। অসমের চিরাং জেলায় পতঞ্জলির যোগাশ্রম ও বিরাট কর্মকাণ্ড গড়ে তোলার জন্য ৩৮০০ হেক্টর জমি দিয়েছেন বিজেপির জোট শরিক বিপিএফ প্রধান হাগ্রামা মহিলারি। পরিবর্তে হাগ্রামাকেও হাজার কোটি টাকার বেশি সুবিধে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
ওই জমির আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর হয়েছে সম্প্রতি। পরেশপন্থী আলফার বক্তব্য: এক সময় বড়ো আন্দোলনের নেতা থাকা হাগ্রামা যে ভাবে ভূমিপুত্রদের জমি হিন্দুত্ববাদী ও আরএসএস ঘনিষ্ঠ রামদেবকে হস্তান্তরিত করেছে তা ভূমিপুত্রদের অধিকার ও স্বার্থ বিরোধী। আলফা সভাপতি অভিজিৎ অসম বলেন, ‘‘যোগ অভ্যাস খারাপ নয়, কিন্তু তা খোলা মাঠেই করা যায়। রামদেবকে যে ভাবে বিরাট সাম্রাজ্য গড়ে রাজ্যে আয়ুর্বেদিক ওষুধের ব্যবসা ছড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে তা অন্যায়। হাগ্রামা যেন সেই কাজ থেকে বিরত থাকেন।’’
যদিও আলোচনাপন্থী আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়াকে দিল্লির বিজেপি সরকারই বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার ব্যবস্থা করেছে। তিনিই আপাতত শান্তি আলোচনার নেতা। বিজেপি অসমে ক্ষমতা দখলের পরে আলোচনার বাধা কাটবে বলেই তাঁর বিশ্বাস।
আজ চেতিয়া জেরাইগাঁওয়ে নিহত আলফা সদস্যদের পরিবারগুলির জমায়েতে বলেন, সংগঠনের লড়াই এক নতুন মোড় নিয়েছে। সকলের স্বার্থে শান্তি আলোচনা শুরু করা হয়েছে। আলফা-সংগ্রামপন্থীদেরও দলে টানার চেষ্টা করবেন তিনি। চেতিয়া বলেন, ‘‘অসম চুক্তি থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। ওই চুক্তিতে অনেক ফাঁক থাকায় তা এখনও সম্পূর্ণ রূপায়িত হয়নি। তাই অসমবাসীর মত নিয়ে আমরা এ নিয়ে স্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চাইছি।’’ তাঁর কথায়, কারও সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া নয়, আলোচনা হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে। তিনি জানান, আলফার ‘শহীদ’ পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্য ট্রাস্ট গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। বড়ো ও কার্বি জঙ্গিদের পরিবারদেরও সাহায্য দেওয়ার কথা তিনি জানান।