চলছে উদ্ধারকাজ। পশ্চিম দিল্লির রাজেন্দ্রনগরে। শনিবার। ছবিঃ পিটিআই।
প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন পশ্চিম দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের এক কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে মৃত্যু হল তিন পড়ুয়ার। সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। মৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা ও এক জন পুরুষ।
দমকল জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ রাজেন্দ্রনগরের ‘রাও’স আইএএস স্টাডি সার্কল কোচিং সেন্টার’-এর বেসমেন্টে জল জমার খবর পান তাঁরা। যিনি ফোন করেছিলেন তিনি জানান, বেসমেন্টে কয়েক জন আটকে পড়েছেন। তার পরেই পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠায় দমকল। শুরু হয় উদ্ধারকার্য। পরে উদ্ধারকার্যে যোগ দেয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও (এনডিআরএফ)। মধ্যরাতের পরেও চলছে উদ্ধারকার্য।
পুলিশ জানিয়েছে, কোচিং সেন্টারটির বেসমেন্টে একটি গ্রন্থাগার ছিল। সেখানে অনেক ছাত্রছাত্রী হাজির ছিলেন। প্রবল বৃষ্টির সময়ে হঠাৎই বেসমেন্টে জল ঢুকতে শুরু করে। আসবাবপত্র ভাসতে শুরু করায় ব্যাহত হয় উদ্ধারকার্য। দড়ির সাহায্যে বেশ কিছু পড়ুয়াদের উদ্ধার করা হয়।
দিল্লির আপ সরকারের রাজস্ব ও জল বোর্ড মন্ত্রী অতীশী জানান, ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠক।
কিন্তু ঘটনাটি নিয়ে সরাসরি আপ সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দিল্লির বিজেপি প্রধান বীরেন্দ্র সচদেব ও নয়াদিল্লির সাংসদ বাঁশুরী স্বরাজের দাবি, দিল্লি সরকারের ভয়ঙ্কর অবহেলার ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। অতিশী ও স্থানীয় বিধায়ক দুর্গেশ পাঠককে এর দায় নিতে হবে।
সম্প্রতি দিল্লির পটেলনগর এলাকায় বৃষ্টির পরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বছর ছাব্বিশের এক ইউপিএসসি পরীক্ষার্থী।
বাঁশুরী স্বরাজের দাবি, রাজেন্দ্রনগরে পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে ডুবুরি ডাকতে হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গত এক সপ্তাহ ধরে ড্রেন সাফ করার জন্য বিধায়ক দুর্গেশ পাঠককে অনুরোধ করছিলেন এই কোচিং সেন্টারের পড়ুয়ারা। কিন্তু তিনি পাত্তা দেননি। অরবিন্দ কেজরীওয়াল, দুর্গেশ পাঠক ও আপ সরকার এই ঘটনার জন্য দায়ী।’’