১২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন দুষ্কৃতীরা। —ফাইল ছবি
ফিল্মি কায়দায় দুই ব্যাঙ্ককর্মীর কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন দুষ্কৃতীরা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রায় দু’সপ্তাহ পর তাঁদের ধরল পুলিশ। টাকা ছিনতাইয়ের জন্য যে কৌশল তাঁরা অবলম্বন করেছিলেন, আদতে তা-ই তাঁদের শনাক্ত করতে সাহায্য করেছে পুলিশকে। শনিবার এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঠাণের ভিওয়ান্ডি স্ট্রিট এলাকার। গত মাসে সেই রাস্তায় একটি ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন দু’জন কর্মী। তাঁদের ধাওয়া করে সুকৌশলে নগদ টাকা ছিনতাই করে নেন দুষ্কৃতীরা। নগদ ১২ লক্ষ টাকা প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতাই হয়ে যায়।
এই ঘটনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যাঙ্ককর্মীরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। শনিবার ভিওয়ান্ডি থানার পুলিশ উত্তরপ্রদেশ থেকে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন বাইকে চেপে ব্যাঙ্ককর্মীদের পিছন পিছন আসছিলেন ২ জন। তাঁদের উপর নজর রাখা হচ্ছিল প্রথম থেকেই। এ ছাড়া গোটা পরিকল্পনার মূল চক্রী অপেক্ষা করছিলেন ব্যাঙ্কের কাছেই। সেখান থেকে ফোনের মাধ্যমে তিনি বাকি দু’জনকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন।
ওই দুই ব্যাঙ্ককর্মীকে আগেও একই রাস্তা দিয়ে নগদ টাকা নিয়ে যেতে দেখেছিলেন দুষ্কৃতীরা। নিয়মিত টাকা নিয়ে যাওয়ায় তাঁদের উপর নজর রাখা শুরু হয়। এর পর ধীরেসুস্থে ৩ জন মিলে টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, কিছু অপরাধমূলক ওয়েব সিরিজ় দেখে এ ভাবে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা।
বাইকে চেপে দুই যুবক যখন ব্যাঙ্ককর্মীদের ধাওয়া করেছিলেন, তখন তাঁদের পরনে ছিল খাবার সরবরাহকারী সংস্থার পোশাক। যাতে তাঁদের উপর কেউ সন্দেহ না করেন, সে কথা ভেবেই ওই পোশাক তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন। তবে তাতেই কুকর্ম ফাঁস হয়ে যায়। ওই বিশেষ পোশাকের মাধ্যমেই তাঁদের শনাক্ত করতে সুবিধা হয় পুলিশের।
গ্রেফতারির পর দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। বর্তমানে তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তদন্ত চলছে।