এই হোমের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যপ্রদেশের হোম থেকে নিখোঁজ হওয়া ২৬ কিশোরীর খোঁজ মিলল তিনটি ভিন্ন এলাকায়। শনিবার তাদের ভোপালের আদমপুর চওনি, একটি বস্তি এলাকা এবং রাইসেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। হোম থেকে কিশোরীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় যখন তোলপাড় চলছে, তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে সরকার। শিশু কল্যাণ এবং উন্নয়ন দফতরের দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ভোপালের একটি হোম থেকে কয়েক দিন আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ২৬ কিশোরী। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো বৃহস্পতিবার আচমকাই ভোপালের পারওয়ালিয়া এলাকার ওই হোম পরিদর্শনে যান। তিনি হোমের রেজিস্টার পরীক্ষা করতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কানুনগো দেখেন, রেজিস্টারে ৬৮ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। অথচ তাদের মধ্যে ২৬ জন নিখোঁজ। এর পরই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে শনিবার আদমপুর চওনি এলাকা থেকে ১০ জন, একট বস্তি থেকে ১৩ জন এবং রাইসেন থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ভোপালের এই হোমের বেশির ভাগ আবাসিকই গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের। এই হোমের কোনও লাইসেন্স নেই বলেও জানিয়েছেন কানুনগো। কিশোরীরা নিখোঁজ হওয়ার পরই বিজেন্দ্র প্রতাপ সিংহ এবং কোমল উপাধ্যায় নামে দুই সরকারি আধিকারিককে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে।