ধর্ষণের দায়ে তান্ত্রিকের পঁচিশ বছর কারাদণ্ড

পুলিশ জানিয়েছে, হাতরাসের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা মহিলা প্রায়ই পেটের ব্যথায় ভুগতেন। তা সারানোর জন্য গত বছরের জুলাইয়ে স্বামী এবং চার বছরের মেয়েকে নিয়ে তান্ত্রিক দ্বারকাদাসের বৃন্দাবনের আশ্রমে যান তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মথুরা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

পেটব্যথা সারিয়ে দেওয়ার নামে বৃন্দাবনে নিজের আশ্রমে এক বিবাহিত মহিলাকে যৌন নিগ্রহ এবং ধর্ষণ করেছিলেন এক তান্ত্রিক। দিয়েছিল হুমকিও। সেই অপরাধের জন্য বৃহস্পতিবার বাবা দ্বারকাদাস নামের ওই তান্ত্রিককে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল মথুরার ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। তান্ত্রিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, হাতরাসের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা মহিলা প্রায়ই পেটের ব্যথায় ভুগতেন। তা সারানোর জন্য গত বছরের জুলাইয়ে স্বামী এবং চার বছরের মেয়েকে নিয়ে তান্ত্রিক দ্বারকাদাসের বৃন্দাবনের আশ্রমে যান তিনি। তান্ত্রিকের এক শিষ্য নির্যাতিতাকে জানান, অপশক্তির কারণে তাঁর পেটব্যথা হচ্ছে। অপশক্তি তাড়ানোর জন্য রাত দশটায় শুরু হবে ঝাড়ফুঁক। সেই জন্য ওই নির্যাতিতাকে আশ্রমের তিনতলার একটি ঘরে অপেক্ষা করতে বলা হয়।

নির্যাতিতার দাবি, রাতে তাঁর স্বামীকে একটি প্রদীপ নিয়ে নীচে চলে যেতে বলা হয়। প্রদীপটি না নেভা পর্যন্ত তাঁকে সেখানেই অপেক্ষা করতে বলা হয়। এর পরে ওই মহিলাকে প্রথমে নিগ্রহ করে দ্বারকদাস। মহিলা বাধা দিলে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। বাবা তাঁকে জানায়, এই ভাবেই অপশক্তি তাড়ানো হয়। পর দিন সকালে অপশক্তি তাড়ানোর নামে ফের ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে দ্বারকাদাস। এই কথা কাউকে জানালে নিগৃহীতার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলারও হুমকি দেয় সে।

Advertisement

বাড়ি ফেরার পরে বিষয়টি স্বামীকে জানান ওই মহিলা। গত বছরের ২২ জুলাই বৃন্দাবনে এসে বাবা দ্বারকাদাসের নামে এফআইআর দায়ের করেন ওই দম্পতি। পুলিশ গ্রেফতার করে বাবাকে। তবে বিচার চলাকালীন নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ করেছে অন্য ব্যক্তি। আদালতে পেশ করা পুলিশের তথ্যপ্রমাণ, চিকিৎসকদের বয়ান উপরে ভিত্তি করে বাবা দ্বারকাদাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

ধর্ষণের জন্য বাবাকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ১৮ মাসের জেল। হুমকি দেওয়ার জন্য দ্বারকাদাসকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং চার হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। অনাদায়ে আরও ছ’মাস জেল খাটতে হবে বাবাকে। এ ছাড়া প্রতারাণার জন্য আদালত তান্ত্রিককে এক বছর সশ্রম কারাবাস এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement