গ্রামের সমস্ত কুকুরকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ গুজরাতে। — ফাইল ছবি।
গ্রামে গণবিবাহের অনুষ্ঠান ছিল। সেই উপলক্ষে গ্রামবাসীরা নেমেছিলেন সাফাই অভিযানে। সেই অভিযানেই ছানা-সহ ২৫টি কুকুরকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গুজরাতের গির-সোমনাথ জেলার আজোথা গ্রামের। ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠছে সকলে। সরব হয়েছে পশুপ্রেমী সংগঠন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে দিন কয়েক আগে। গ্রামে একটি গণবিবাহের আসর বসার কথা ছিল। সেই উপলক্ষে গ্রাম পরিষ্কার করতে নামেন গ্রামবাসীরা। তখনই রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুরদের ধরে ধরে মারা হয়। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, গ্রামবাসীরা দল বেঁধে ঘুরছেন। কুকুর দেখলেই ঘিরে ধরে চলছে লাঠিপেটা। কয়েকটি কুকুরছানাকে ঝুলির মধ্যে পুরে তার পর লাঠি মারা হচ্ছে, সেই দৃশ্যও ধরা পড়েছে ভিডিয়োয়। মাঝেমাঝে শোনা যাচ্ছে কুকুরের আর্তনাদও।
এ ব্যাপারে দোষীদের খুঁজে বার করে কড়া শাস্তির সুপারিশ করে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন পশুপ্রেমী সংগঠনের কর্তারা। হরিশ সাঙ্ঘভির কাছে আবেদন করা হয়েছে, তিনি যেন বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টির তদন্ত করেন এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করেন। একই দাবিতে রাজ্যের পশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য রাজেন্দ্র শাহ গির-সোমনাথের পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখেছেন। রাজেন্দ্র বলেন, ‘‘পশুদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ ছোট গ্রামে চালু করা যায়নি। সেই কারণেই একাধিক গ্রামে রাস্তার কুকুরের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু এ ভাবে কুকুরদের পিটিয়ে মারার ঘটনার নিন্দা করার ভাষা আমাদের নেই। আমরা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আশা করি, সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ করবে।’’
গির-সোমনাথের পুলিশ সুপার মনোহরসিন জাডেজা বলছেন, ‘‘আমরা একটি দলকে পাঠিয়েছিলাম অভিযোগের যথার্থতা খতিয়ে দেখার জন্য। কিন্তু তাঁরা এই ঘটনার কোনও প্রমাণ পাননি। এখনও পর্যন্ত কেউ এগিয়ে এসে অভিযোগও দায়ের করেননি। প্রমাণ পেলেই আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও এগোতে পারব।’’