প্রতীকী ছবি।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ২০ জুলাই আগরতলায় এসেছেন আইপ্যাকের ২৩ জন সমীক্ষক। কিন্তু তাঁদের হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মঙ্গলবার রাতে হোটেলে গিয়ে জানিয়ে এসেছেন, তাঁদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ। রাজ্য তৃণমূল সভাপতি আশিস লাল সিংহ জানিয়েছেন, আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের তিন জন মন্ত্রী আগরতলায় আসছেন। এঁরা হলেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আজ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “জঙ্গলের শাসনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেন এঁদের আটকে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশাসন থেকে সঠিক কিছু বলছে না।” অনেক হোটেলেই সব লোকের কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে না। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, আইপ্যাকের লোক বলেই এত বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। কোভিড-রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত তাঁদের হোটেল থেকে বেরোতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার এক সদস্য। তিনি বলেন, “ঘরের বাইরে পুলিশ পাহারা। কার্যত বন্দি রাখা হয়েছে।” সংস্থার লোকদের প্রশ্ন, ত্রিপুরায় আসা অন্য সকলকেই কি এই ভাবে পরীক্ষার নাম বন্দি রাখা হচ্ছে? রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও কার্ফুর কারণে তাঁরা কতটা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রইলই।
সিপিএমের মানিক সরকারের বক্তব্য, “কেউ বলতে পারবে না, বামফ্রন্ট জমানায় এই ভাবে বাইরের লোকদের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। ওঁরা এখানে কাজ করছেন। এটা তাঁদের গণতন্ত্রিক অধিকার। কাগজপত্র পরীক্ষা করে কিছুই অনিয়ম ধরতে পারলেন না। তার পরেও
হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে।” মানিক বাবুর মতে, “বিজেপি ভয় থেকে এই সব করছে। কারণ তারা বুঝে গিয়েছে, জনগণ তাঁদের সঙ্গে নেই। ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। এ দিকে নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এখন নতুন করে কিছু করারও নেই।”