ভুবনেশ্বরে আগুনে ধ্বস্ত হাসপাতাল, মৃত ২৩

কলকাতার আমরি হাসপাতালের দুর্ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিয়ে ভয়াবহ আগুনে শিকার হল ভুবনেশ্বরের এসইউএম হাসপাতাল। সোমবার সন্ধেবেলার এই মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডে রাত পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অন্তত ১২০ জন। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ঘটনাটিকে অত্যন্ত ট্র্যাজিক বলে বর্ণনা করেছেন। কী ভাবে এমন ঘটল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৪৪
Share:

হাসপাতালের বাইরে উদ্বিগ্ন আত্মীয়দের ভিড়। ছবি: এপি।

কলকাতার আমরি হাসপাতালের দুর্ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিয়ে ভয়াবহ আগুনে শিকার হল ভুবনেশ্বরের এসইউএম হাসপাতাল। সোমবার সন্ধেবেলার এই মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডে রাত পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অন্তত ১২০ জন। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ঘটনাটিকে অত্যন্ত ট্র্যাজিক বলে বর্ণনা করেছেন। কী ভাবে এমন ঘটল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

পুলিশের তরফে অবশ্য প্রাথমিক ভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। সোমবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ হাসপাতালের দোতলায় ডায়ালিসিস ইউনিটের আইসিইউ এবং অপারেশন থিয়েটারে প্রথম আগুন ধরে। তবে কলকাতার আমরি হাসপাতালের উল্টো পথে হেঁটে এখানে প্রথমেই কাচের জানলাগুলি ভেঙে দেওয়া হয়।

২০১১ সালে আমরিতে আগুনের চেেয়ও বেশি ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়েই ৮৫ জন রোগী-সহ মোট ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এখানে জানলাগুলো ভেঙে দেওয়ায় সেটা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ভাঙা জানলা দিয়ে হাসপাতালের কর্মীরা অনেকে বাইরে লাফিয়েও পড়েন। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত সরানোর চেষ্টা করা হয়। তা সত্ত্বেও সকলকে বাঁচানো যায়নি। আহতদের মধ্যেও অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। সাতটি দমকল ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। ১৫টি অ্যাম্বুল্যান্স তত ক্ষণে বাইরে জড়ো হয়ে ছিল। রোগীদের দ্রুত বের করে আনার জন্য স্কাইলিফট-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

Advertisement

রোগী এবং আক্রান্তদের উদ্ধার হওয়ার পরেই ভুবনেশ্বরেই অন্যান্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্যাপিটাল হাসপাতাল যেমন জানিয়েছে, তাদের কাছে ১৪ জনকে মৃত অবস্থাকেই আনা হয়েছিল। ভুবনেশ্বর আমরি জানাচ্ছে, তাদের কাছে প্রথমে ৩৭ জনকে আনা হয়। তার মধ্যে ৮ জন মৃত অবস্থাতেই এসেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অন্তত ৩-৪ জন রোগী শয্যাতেই মারা গিয়েছেন। হাসপাতালে মোট ১০০০ শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৫০০টিতে রোগী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা এই মর্মান্তিক ঘটনায় ওড়িশাকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। শোক জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লিখেছেন, ‘‘ওড়িশার হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় আমি শোকস্তব্ধ। এই ট্র্যাজেডি মনকে অবশ করে দিচ্ছে। স্বজনহারাদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ অগস্ট মাসে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাতে দু’জন মারা গিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement