প্রতীকী ছবি।
বন্ধুদের নিয়ে মত্ত অবস্থায় বিয়ে করতে এসেছিলেন বর। প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও মত্ত বরযাত্রীরা অসভ্যতা শুরু করতেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে কনেপক্ষের। বরপক্ষের অসভ্যতা দেখে বিয়ের কয়েক মুহূর্ত আগে বিয়ে ভেঙে দেন ২২ বছরের পাত্রী। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের একটি গ্রামে।
জানা গিয়েছে, প্রতাপগড়ের তিকরি গ্রামে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিল এক কৃষক পরিবার। সেখানে বিয়ে করতে এসেছিলেন কুতিলিয়া আহিনা গ্রামের রবীন্দ্র পটেল।
বিয়ের দিন বর এবং তাঁর বন্ধুরা মত্ত অবস্থায় এসেছিলেন। যদিও তা নিয়ে শুরুতে কোনও রকম উচ্চবাচ্য করেনি কনেপক্ষ। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ‘জয়মালা’ অনুষ্ঠানের আগে। বর এবং তাঁর বন্ধুরা তাঁদের সঙ্গে নাচার জন্য জোর করতে থাকেন কনেকে। কিন্ত তাতে রাজি না হওয়ায় বিয়ের মণ্ডপেই অসভ্যতা শুরু করেন বরযাত্রীরা। তা দেখেই বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন কনে। সঙ্গে কনেপক্ষের লোকেরা আটকেও রাখেন বরযাত্রীদের।
বরযাত্রীরা সমস্যা মেটাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন। তখন কনেপক্ষ বিয়ে ঠিক হওয়ার সময় তাঁদের দেওয়া উপহার এবং টাকা ফেরতের দাবি জানাতে থাকে। তা ফেরত দিতে রাজি হওয়ার পরে সেখান থেকে ছাড়া পান বরযাত্রীরা।