জামিরউদ্দিন শাহ
গুজরাত দাঙ্গায় সেনা মোতায়েন নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল ‘মিথ্যে’ রিপোর্ট দিয়েছিল বলে দাবি প্রাক্তন সেনাকর্তা জামিরউদ্দিন শাহের। তিনি জানান, আমদাবাদে পৌঁছনোর পরে এক দিন যানবাহন না পাওয়ায় দাঙ্গা-বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছতে পারেনি সেনা।
প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জামিরউদ্দিনের দাবি, গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে দ্রুত যানবাহন চেয়েছিলেন তিনি। অনুরোধ জানানোর সময়ে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজও হাজির ছিলেন। কিন্তু তা-ও এ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। এ দিন দিল্লিতে জামিরউদ্দিনের স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। ওই স্মৃতিকথায় গুজরাত দাঙ্গা সামলাতে ‘অপারেশন আমন’-এর কথাও বিশদে জানিয়েছেন জামিরউদ্দিন। ওই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনিই। সেই বিবরণ নিয়েই ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তা আর কে রাঘবনের নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল মোদীকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছে। সেই দলের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, দাঙ্গা সামলাতে সেনা মোতায়েনে দেরি করা হয়নি। সিট রিপোর্টে জানিয়েছে, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) অশোক নারায়ণের সাক্ষ্য থেকে এ কথা জানা গিয়েছে। কিন্তু জামিরউদ্দিনের দাবি, রিপোর্টে একেবারে মিথ্যে কথা লেখা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০০২ সালের ১ মার্চ সকাল সাতটার সময়ে আমদাবাদে ৩ হাজার সেনা পৌঁছয়। দুপুর ২টোর সময়ে জর্জ ফার্নান্ডেজের উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদীর কাছে সেনাদের জন্য যানবাহন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক দিন পরে যানবাহন ও অন্যান্য উপকরণ হাতে পেয়েছিলেন জামিরউদ্দিন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি সামলায় সেনা। জামিরউদ্দিনের বক্তব্য, ‘‘পুরো ঘটনার কথা অভিযান-পরবর্তী রিপোর্টে লেখা রয়েছে।’’ জামিরউদ্দিনের বক্তব্য সমর্থন করেছেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এস পদ্মনাভনও। প্রাক্তন সেনা অফিসারের কথায়, ‘‘সেনা মোতায়েনে দেরি প্রশাসনের ব্যর্থতা।’’ তবে প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি আনসারি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘প্রশাসন ব্যর্থ হলে দায়টা কার?’’ বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রাক্তন প্রধান রাঘবন মন্তব্য করতে চাননি।