জঙ্গি হানার পরে এইচএমটি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা। ছবি: পিটিআই।
২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের দ্বাদশ বর্ষপূর্তির দিনে জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালাল জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানী শ্রীনগরের উপকণ্ঠে এইচএমটি এলাকায় এই হামলায় দুই সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
শ্রীনগরে মোতায়েন ভারতীয় সেনার ১৫ নম্বর কোর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তা দিয়ে সেনার একটি কনভয় যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে রুটিনমাফিক একটি ‘রোড ওপেনিং পার্টি’ গিয়েছিল এলাকা পরিদর্শনে। সে সময় হঠাৎ হানা দেয় জঙ্গিদের একটি দল। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত হন দুই জওয়ান। সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরেই পুলিশ এবং সিআরপিএফের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘স্পেশাল অপারেশনাল গ্রুপ’’ (এসওজি)-এর যৌথ বাহিনী এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘জঙ্গিদের সম্ভাব্য পালানোর পথগুলির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফ্লিনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িতেরা অনুপ্রবেশকারী পাক জঙ্গি বলে মনে করা হচ্ছে। জেলা উন্নয়ন পরিষদ (ডিডিসি)-গুলির আসন্ন ভোটের আগে নাশকতার ঘটনা বাড়তে পারে বলে কিছুদিন আগেই একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি তিন জন জঙ্গি একটি গাড়িতে চড়ে এসেছিল। হামলা চালিয়েই তারা পালিয়ে যায়। ওদের মধ্যে দু’জন বিদেশি বলে খবর মিলেছে।’’
আরও পড়ুন: বিভাজন থেকেই আসে ঐক্য, বাইডেনের ‘থ্যাঙ্কসগিভিং’ বার্তা
আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের জেলা উন্নয়ন পরিষদগুলির নির্বাচন শুরু হবে। ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আট দফায় হবে ভোটগ্রহণ। গণনা ২২ ডিসেম্বর। জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি হামলা চালিয়ে ভোটপর্ব ভেস্তে দিতে সক্রিয়। গত বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জম্মুর নাগরোটায় জাতীয় সড়কের টোল প্লাজায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অনুপ্রবেশকারী ৪ জইশ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল।