National News

জেকেএলএফের খবর করায় জেরার মুখে দুই

গত বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে আফজল গুরু ও মকবুল ভাটের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপত্যকায় ৯ ও ১১ তারিখ বন্‌ধ ডেকেছে জেকেএলএফ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:০১
Share:
পিটিআইয়ের তোলা প্রতীকী ছবি।

পিটিআইয়ের তোলা প্রতীকী ছবি।

নিষিদ্ধ সংগঠন জেকেএলএফের বিবৃতির খবর প্রকাশের জন্য দুই সাংবাদিককে থানায় নিয়ে গেল কাশ্মীরের পুলিশ। কী অপরাধে? গ্রেফতার করা হয়েছে কি তাঁদের? ক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দল এই প্রশ্ন নিয়ে শনিবার হাজির হন কাশ্মীর জোনের আইজিপি বিজয় কুমারের কাছে। তাদের প্রতিবাদের মুখে পুলিশ জানায়, গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি ওই দুই সাংবাদিককে। শুধু তদন্তের স্বার্থে তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে অবশ্য দু’জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে আফজল গুরু ও মকবুল ভাটের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপত্যকায় ৯ ও ১১ তারিখ বন্‌ধ ডেকেছে জেকেএলএফ। সেই খবর প্রকাশের পরে গত মার্চ থেকে নিষিদ্ধ ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এর পরে রাজস্থানে কাশ্মীরি নাবালকের হত্যা নিয়ে গত কাল বিবৃতি দেয় সংগঠনটি।

রাজস্থানে বসিত আমেদ নামে এক ১৭ বছর বয়সি এক কাশ্মীরিকে গত কাল পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। সে একটি ক্যাটারিং সংস্থায় কাজ করত। তুচ্ছ কোনও বিষয় নিয়ে বচসার জেরে সহকর্মীরা পিটিয়ে মেরে ফেলে ওই নাবালককে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে জেকেএলএফ এক বিবৃতিতে বলে, ‘‘হিন্দু চরমপন্থা বিশ্বশান্তিকে বিপন্ন করে তুলছে। সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলিমদের পিটিয়ে মেরে ফেলাটা এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। এবং এই গুন্ডারা ভারত সরকারের মদত পাচ্ছে।’’ সন্দেহ নেই তাদের এই বিবৃতি প্রকাশের জেরেই পুলিশ-প্রশাসনের রোষে পড়েন ওই দুই সাংবাদিক।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘রাম রাজ্যে’ ঠাঁই নিয়ে কেউ ক্ষুব্ধ, কেউ খুব চিন্তায়

উচ্চপদস্থ এক পলিশ কর্তা আজ স্পষ্ট বলেন, কোনও নিষিদ্ধ সংগঠনের বিবৃতি প্রকাশ করতে দেওয়া হবে না। প্রশ্ন উঠেছে, এ তো খবরের কণ্ঠরোধ! উত্তর-পূর্ব ভারতের বা দেশের অন্যত্র বহু জঙ্গি সংগঠনই নানা সময়ে বিবৃতি দিয়ে থাকে, যা সংবাদমাধ্যমে ঠাঁই পেয়ে থাকে। এমনকি মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সাক্ষাৎকারও ছাপা হয়েছে অতীতে। প্রসঙ্গ কাশ্মীর বলেই সংবাদমাধ্যমকে দমনের নীতি নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত ও দেশের অন্যত্রও সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এতে। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই বিবৃতিতে জানিয়েছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জ়িরো টলারেন্স নীতি নিয়েই চলবে সরকার।

তার অর্থ কি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, প্রশ্ন সেটাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement