প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের আগরার একটি জুভেনাইল হোমে দুই নাবালিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠল হোমেরই সুপারের বিরুদ্ধে। সরকারি হোমের সেই ঘটনার দু’টি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি ওই হোমের সুপার পুনম পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সোমবার প্রথম ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক নাবালিকা খাটে শুয়ে আছে। আরও ছ’জন তিনটি খাটে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল। হোম সুপার ওই ঘরে ঢোকেন এবং এক নাবালিকাকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। বাকিদের বকাবকি করেন, তাদের মধ্যে এক জনকে আবার থাপ্পড়ও মারেন। এই ঘটনা যখন ঘটছিল, সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন হোমেরই এক কর্মী।
মঙ্গলবার আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। এই ভিডিয়োটিরও সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বছর সাতের একটি মেয়ে খাটের উপর শুয়ে আছে। তার হাত এবং পা দড়ি দিয়ে খাটের সঙ্গে বাঁধা। কিশোরী বার বার নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছিল। এই দু’টি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছয়। আগরার ডিভিশন কমিশনার ঋতু মাহেশ্বরী বলেন, “হোমের সুপার পুনম পাল এবং এই ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েক জন কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জেলাশাসক কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। একটি এফআইআরও করা হয়েছে।” আগরার জেলা প্রশাসনের এক সূত্রের খবর, হোম সুপার পুনমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এই প্রথম নয়। প্রয়াগরাজে যখন দায়িত্বে ছিলেন, তখনও এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
আগরার জুভেনাইল হোমে নাবালিকাদের উপর সুপারের অত্যাচার প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সমালোচনা করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, বিজেপিশাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশে শিশুদের প্রতি অপরাধের ঘটনা সবচেয়ে বেশি।