দৈনিক সংক্রমণের হার আরও কমে ১৩.৩৯ শতাংশ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মঙ্গলবার থেকেই দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষের নীচে। সেই ধারা অব্যাহত থাকল শনিবারও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দু’লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৩২ জন। দৈনিক সংক্রমণের পরিমাণ গত ২৪ ঘন্টায় ছয় শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কমেছে দৈনিক সংক্রমণের হারও। বৃহস্পতিবার করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১৯.৫৯ শতাংশ। শুক্রবার তা কমে হয় ১৫.৮৮ শতাংশ। শনিবার তা আরও কমে হল ১৩.৩৯ শতাংশ। দেশ জুড়ে সুস্থতার হারও সামান্য বাড়ল। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ৯৩.৮৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় করোনার কারণে দেশে মোট ৮৭১ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা আছে। তবে কেরলে পুরনো ২৫৮ জন মৃতের নাম এই তালিকায় যোগ হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাতে এই বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছে। অর্থাত্ গত ২৪ ঘন্টায় নতুন মৃতের সংখ্যা ৬১৩ জন।
বর্তমানে পৃথিবীর সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্তের দেশ আমেরিকা। এর পরই রয়েছে ভারত। ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট চার কোটি আট লক্ষ ৫৮ হাজার ২৪১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা মোট আক্রান্তের ৪.৯১ শতাংশ। দেশে এই মুহূর্তে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষ চার হাজার ৩৩৩ জন।
এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১৬৫ কোটি চার লক্ষ ৮৭ হাজার ২৬০ টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা প্রাপকের সংখ্যা ৫৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৬৬ জন।
শুক্রবার নতুন করে ৮৭১ জন মৃতের তালিকা প্রকাশ হওয়ায় দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯৮ জন।
প্রসঙ্গত ভারতে প্রথম ও দ্বিতীয় টিকাকরণের পাশাপাশি জোরকদমে চলছে বুস্টার টিকা দেওয়ার কাজও। এরই মধ্যে, শুক্রবার মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে কোভ্যাক্সিন টিকা প্রস্তুতকারক ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের নাকের মাধ্যমে নেওয়া বুস্টার টিকা। তবে কোভ্যাক্সিনের দু’টি টিকা গ্রহণ করা ব্যক্তিদের উপরই করা যাবে এই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) শুক্রবার এই এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা অনুমোদন দিয়েছেন। দেশের ন’টি জায়গায় এই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালানো হবে। ভারত বায়োটেক এই টিকার নাম দিয়েছেন, বিবিভি১৫৪।
হায়দরাবাদ-ভিত্তিক টিকা প্রস্তুতকারক এই সংস্থা গত মাসেই নাকের মাধ্যমে নেওয়া টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানোর জন্য ডিসিজিআই-এর অনুমোদন চেয়েছিল।