ছবি: পিটিআই।
লোকসভা ভোটের পর এই প্রথম গোটা দেশের উনিশটি বিরোধী দল একজোট হল রাজ্যসভায়। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সংসদে বিজেপি-বিরোধী এই পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। নির্বাচনী সংস্কার, ব্যালট ফেরানোর প্রস্তাবকে সামনে রেখে রাজ্যসভায় স্বল্পমেয়াদি আলোচনার জন্য যৌথ ভাবে নোটিস দিয়েছেন এই দলগুলির নেতারা।
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ’ও ব্রায়েন আজ বলেন, ‘‘নির্বাচনী সংস্কারের বিষয় নিয়ে অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে যৌথ পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমাদের নেত্রী। গত কয়েকদিনে আমরা কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি, ডিএমকে, পিডিপি, টিআরএস-সহ প্রায় সব বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলেছি। কথা হয়েছে শিবসেনার সঙ্গেও। বিষয়টি নিয়ে নোটিস দিতে সকলেই রাজি হয়েছেন ।’’
ব্যালট ফিরিয়ে আনার দাবি অবশ্য নতুন কিছু নয়। তবে এমন একটা সময়ে এ নিয়ে আলোচনা চাইছে তৃণমূল, যখন ইভিএমের মাধ্যমেই রাজ্যের তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতে এসেছে তারা। বিরোধী নেতারা অবশ্য বলছেন, একজোট হওয়ার বিষয়টি ইভিএম বিতর্ককে ছাপিয়ে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-র মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়ার পর হাওয়া এখন কিছুটা হলেও ঘুরতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সংসদীয় রণকৌশল ঠিক করতে উনিশ দলের একজোট হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সবিনয়ে মোদীকে ‘না’ বলেন সুপ্রিয়ার ‘বস’
বিরোধী নেতারা মনে করছেন, সবচেয়ে বড় সাফল্য হল মায়াবতীর বিএসপি এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস-কে পাশে পাওয়া। লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে সুর নরম করেছিলেন মায়াবতী। বিএসপি সূত্রের দাবি, সিবিআই-কে কাজে লাগিয়ে প্রবল চাপ তৈরি করা হয়েছে মায়াবতী এবং তাঁর পরিবারের উপর। তাই সংসদে কেন্দ্র-বিরোধী কোনও পদক্ষেপে পা মেলাতে দেখা যায়নি তাঁদের। কিন্তু এ বারে ডেরেকের প্রস্তাবে এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছেন বিএসপি সাংসদ সতীশ মিশ্র। আর টিআরএস-কে এই প্রথমবার সংসদে দেখা গেল বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলাতে। লোকসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই চন্দ্রশেখর রাওয়ের পক্ষ থেকে বিরোধীদের একজোট করার প্রয়াস দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সে সময়ে কংগ্রেস ও অন্য অনেক বিরোধী দলের নেতা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, মোদীর হয়েই রাজনীতির মাঠে নেমেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।