প্রতীকী চিত্র।
তৈরি হয়েছে শুক্রবার। তার পরের দিন শনিবারই কাশ্মীরে ১৬৮ জন রোহিঙ্গাকে সেই ‘হোল্ডিং সেন্টার’ বা অস্থায়ী কারাকেন্দ্র নিয়ে গেল রাজ্য প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে। এই কেন্দ্রে রেখেই তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাই করা হবে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
জম্মু-কাশ্মীরের সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শনিবার ওই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বাসে করে জম্মু থেকে হীরানগর সাব জেলে নিয়ে আসা হয়। ওই জেলকে আগেই হোল্ডিং সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সপ্তাহখানেক আগে থেকে জম্মুতে ‘বেআইনি ভাবে’ বসবাস করছিলেন ওই উদ্বাস্তুরা।
এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই উদ্বাস্তুদের বৈধ পাসপোর্ট নেই, যা পাসপোর্ট আইনের ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী থাকা বাধ্যতামূলক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব যাচাইয়ের যে নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে, সে সব মেনেই হোল্ডিং সেন্টারে রেখে এঁদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলবে।’’
বিদেশি আইন (ফরেনার্স অ্যাক্ট)-এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে ২৫০ জনের থাকার মতো একটি ‘হোল্ডিং সেন্টার’ বা ‘অস্থায়ী কারাকেন্দ্র’ তৈরির নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই মতো হীরানগর উপ-সংশোধনাগারকে ‘হোল্ডিং সেন্টার’-এ রূপান্তরিত করা হয়। ওই সংশোধনাগারে থাকা বন্দিদের অন্যান্য সংশোধনাগারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই হীরানগর উপ-সংশোধনাগারেই আপাতত দিনযাপন করতে হবে ওই রোহিঙ্গাদের।