বরফে ঢেকেছে হিমাচলের বিস্তীর্ণ এলাকা। ছবি: পিটিআই।
হিমাচলে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের জেরে হিমাচলের ১৬৮টি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। এগুলির মধ্যে তিনটি জাতীয় সড়কও রয়েছে। এরই মধ্যে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ষণ চলবে হিমাচলের বিস্তীর্ণ অংশে।
বৃষ্টি এবং তুষারপাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে লাহুল এবং স্পিতি উপত্যকায়। শনিবারেও সেখানে নতুন করে বর্ষণ এবং তুষারপাত হয়েছে। বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। গত ২৪ ঘণ্টার তুষারপাতে কল্পা এবং কুসুমসেরি ৫ সেন্টিমিটার পুরু বরফ পড়েছে। মানালির নিকটবর্তী রোহটাংয়ের অটল টানেলে থমকে গিয়েছে যান চলাচল। এরই মধ্যে হিমাচল পরিবহণ দফতরের একটি বাস বরফ পড়া পিচ্ছিল পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কারও হতাহত হওয়ার খবর মেলেনি।
পরিস্থিতি অনুকূলে নেই রাজধানী শিমলাতেও। সেখানেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত চলছে। সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। প্রবল শিলাবৃষ্টির কারণে সোলানের সঙ্গে বাকি রাজ্যের সংযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। তারা হিমাচলের ১২টি জেলার মধ্যে ৭টিকে সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত চলতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।