—প্রতীকী ছবি।
বাইকুল্লা ও স্যান্ডহার্স্ট স্টেশনের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় রেল চলাচল থমকে গিয়ে মুম্বইয়ের হাজার হাজার যাত্রী হয়রান হলেন। বাতিল হল ৮৮টি লোকাল-সহ মোট ১৪৭টি ট্রেন। রেলের বক্তব্য, এক সহকর্মীর শেষকৃত্যে যোগ দিতে অনেক ট্রেনচালক চলে যাওয়ায় এই সমস্যা। অপ্রত্যাশিত কর্মী ঘাটতির ফলে সমস্যা ধাপে ধাপে গুরুতর হয়ে দেখা দেয় বলে মন্তব্য করেছেন রেলের এক মুখপাত্র। এ বিষয়ে রেল শ্রমিক সংগঠনের বক্তব্য অবশ্য অন্য।
শুক্রবার বাইকুল্লা এবং স্যান্ডহার্স্ট স্টেশনের মাঝে লাইন পারাপার করার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মুরলীধর শর্মা (৫৪) নামে এক মোটরম্যানের মৃত্যু হয়। তার পরে ‘ওভারটাইম’ বা বাড়তি সময় কাজ না করার ডাক দিয়েছে সেন্ট্রাল রেলওয়ে মজদুর সঙ্ঘ। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাসে মোটরম্যানদের জিরিয়ে নেওয়ার ঘরে ঝুলছে ‘নো এক্সট্রা’ লেখা বোর্ড।
শূন্য পদ পূরণ না হওয়ায় অতিরিক্ত কাজের চাপে দীর্ঘ দিন ধরে রেলকর্মীরা জেরবার বলে অভিযোগ কর্মী সংগঠনের। তাদের দাবি, অত্যন্ত চাপ সয়ে কাজ করে চলায় ক্রমশ অবসাদ গ্রাস করতে শুরু করেছিল মুরলীধরকে। রেলকর্মীদের মধ্যে সমাজমাধ্যমে চলছে তাঁর আত্মহত্যার জল্পনাও। শ্রমিক সংগঠন জানিয়েছে, শুক্রবার সকালেই মুরলীধর লোকাল ট্রেন চালানোর সময় একটি লাল সিগন্যাল পেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছেন। কড়া শাস্তি বা হেনস্থা হতে পারে ভেবে চিন্তিত ছিলেন তিনি।
শ্রমিক সংগঠনের দাবি, যে ভাবে অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলে চলতে হয় রেল চালকদের, তাতে লাল সিগন্যাল পার করে একটু এগিয়ে যাওয়া আর ইচ্ছা করে ঝুঁকি নিয়ে সিগন্যাল ভাঙা এক হতে পারে না। কিন্তু দু’ক্ষেত্রেই রেল কর্তৃপক্ষ চাকরি বাতিলের মতো একই রকম কড়া পদক্ষেপ করায় মুরলীধরকে প্রাণ দিতে হল বলে অভিযোগ ন্যাশনাল রেলওয়ে মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বেণু নায়ারের। এ ব্যাপারে মজদুর সঙ্ঘ সেন্ট্রাল রেলের মুম্বইয়ের ডিআরএম-কে চিঠি দিয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ কল্যাণে মুরলীধরের শেষকৃত্য ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় একশো জন মোটরম্যান এবং সাবার্বান রেলের আরও পাঁচশোর কাছাকাছি কর্মী।