National

কাশ্মীরে ১৪টি পাক সেনাচৌকি গুঁড়িয়ে দিল ভারত, পাক হামলায় হত ৮

মর্টার আর গোলাগুলি বর্ষণে মঙ্গলবার দিনভর রক্তাক্ত হল জম্মু-কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা। এ দিন ভোর থেকেই সাম্বা জেলার রামগড় সেক্টর আর তার আশপাশের এলাকায় মর্টার আর গোলাগুলি বর্ষণ করে পাক রেঞ্জার্স।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৬ ২১:০৫
Share:

প্রথমে পাকিস্তানের হামলা। তার পর ভারতের প্রত্যাঘাত। মর্টার আর গোলাগুলি বর্ষণে মঙ্গলবার দিনভর রক্তাক্ত হল জম্মু-কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা। এ দিন ভোর থেকেই সাম্বা জেলার রামগড় সেক্টর আর তার আশপাশের এলাকায় মর্টার আর গোলাগুলি বর্ষণ করে পাক রেঞ্জার্স। ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের মর্টার হানায় চার মহিলা ও দুই শিশু সহ নিহত হয়েছেন আট জন। আহতের সংখ্যা কম করে ২২। গত দু’দশকে পাক হামলায় এক দিনে এত বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি উপত্যকায়। ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাক সেনাবাহিনী এই নিয়ে ৬০ বার অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল। গুলি ও মর্টার ছুড়ে পাক হামলা প্রতিরোধ করেছেন বিএসএফ জওয়ানরাও। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কম করে ১৪টি পাক সীমান্ত-চৌকি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত হয়েছেন অন্তত দু’জন পাক সেনা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ১৭৪টি স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

এ দিন ভোর সাড়ে ৫টা থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালায় পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের নৌশেরা ও রাজৌরি জেলায় বার বার গোলাবর্ষণ করে তারা। সেনার দাবি, কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই এ দিন ১২০ মিলিমিটার মর্টার দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি, সাম্বা জেলার রামগড় সেক্টরে ভারতীয় সেনা চৌকি ছাড়াও আশপাশের গ্রামগুলো লক্ষ্য করে মর্টার ছুড়তে থাকে তারা।

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভোর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় যথেচ্ছ গোলাবর্ষণ শুরু করে পাক রেঞ্জার্স। সাম্বা জেলায় বছর একুশের এক মহিলা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এসএসপি যোগিন্দর সিংহ। অন্য দিকে, পানিয়ারি সেক্টরে নিহত দু’জন মহিলা। আর্নিয়ায় আহত হয়েছেন তিন গ্রামবাসী। পিন্ডি চক্র গ্রামে আহত হয়েছেন তিন জন গ্রামবাসী। তাঁদের গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মর্টারের স্‌প্লিন্টারের আঘাতে জের্দা গ্রামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। পাক হামলার জবাবে বিএসএফ জওয়ানরাও গোলাবর্ষণ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন এক সেনা আধিকারিক। এই সব এলাকা থেকে গ্রামবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপত্যকায় ১৭৪টি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

গত রবিবারও একই ভাবে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালায় পাকিস্তান। বালাকোট জেলায় কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই পাক হামলায় নিহত হন এক সেনা জওয়ান।

বিএসএফ-এর ডিআইজি(জি)ধর্মেন্দ্র পারিখ বলেন, “পাকিস্তান রেঞ্জার্সের জওয়ানরা প্রথমে গুলি ছুড়তে থাকলেও সাড়ে ৬টা নাগাদ মর্টার হামলা শুরু করে। সাম্বা ও জম্মু জেলার যথাক্রমে রামগড় ও আর্নিয়া সেক্টরের চার-পাঁচ জায়গা থেকে ছড়িয়ে পড়ে হামলা চালায় তারা।” পারিখের দাবি, এই সব এলাকা দিয়ে পাক মদতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক কালের বৃহত্তম হামলা, কাশ্মীরে পাক গোলায় হত ৮ নাগরিক

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement