গ্রেফতার হওয়া ১৪ জন ভুয়ো চিকিৎসক। ছবি: সংগৃহীত।
মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হত নকল মেডিক্যাল ডিগ্রি। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৪ জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করল গুজরাত পুলিশ। অভিযুক্তদের কাছ থেকে অন্তত ১২০০টি ভুয়ো শংসাপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রাথমিক তদন্তে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘বোর্ড অফ ইলেকট্রো হোমিয়োপ্যাথিক মেডিসিন’ নামে নকল একটি সংস্থা তৈরি করেছিলেন অভিযুক্তেরা। দাবি করা হয়েছিল যে, ওই সংস্থা গুজরাত সরকারের দ্বারা অনুমোদিত। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতে ইলেকট্রো হোমিয়োপ্যাথি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নিয়মবিধি না-থাকার কারণেই ওই বিষয়ে সংস্থা খোলার পরিকল্পনা করেন চক্রীরা।
প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণদেরও ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে মেডিক্যাল ডিগ্রি দেওয়া হত। ডিগ্রিপ্রাপকেরা যে ওয়েবসাইটে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতেন, সেটিও ভুয়ো বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটা টাকা দিয়ে যাঁরা ডিগ্রি কিনতেন, তাঁদের বছরে গড়পড়তা ১০ হাজার টাকা দিয়ে সেটির পুনর্নবীকরণ করাতে হত। ভুয়ো চিকিৎসকদের বলা হত, ওই শংসাপত্র দেখিয়ে অ্যালোপ্যাথি, হোমিয়োপ্যাথি দুই পদ্ধতিতেই চিকিৎসা করা যাবে। তিন জন নকল ডাক্তারকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে অভিযুক্তদের সন্ধান পায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় চক্রের ‘মূল মাথা’ রমেশ গুজরাতিকেও। কারা কারা নকল ডিগ্রি নিয়ে ডাক্তারি করছেন, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।