প্রতীকী ছবি।
দিল্লি থেকে ১৩৮ জন যাত্রী নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে বিমান রওনা হয়েছিল মঙ্গলবার সকালে। সেই সফর শেষ হল বুধবার ভোররাতে। মাঝে পাকিস্তানের করাচিতে ১১ ঘণ্টা আটকে রইলেন দিল্লি থেকে স্পাইসজেটের বিমানে ওঠা যাত্রীরা।
বিমানে ইন্ডিকেটর প্যানেলে আলো বিভ্রাটের জন্য স্পাইসজেটের এসজি-১১ বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করাতে হয় পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরে। তার আগে স্পাইসজেটের ওই বিমান বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের চালক ইন্ডিকেটর প্যানেল থেকে জ্বালানি চুঁইয়ে পড়ার সিগন্যাল পেয়েছিলেন। এর পরই দিল্লি থেকে দুবাইগামী বিমানের মুখ ঘুরিয়ে পাকিস্তানে অবতরণ করানো হয়। যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় দিল্লি থেকে পরের বিমান এলে সেই বিমানেই গন্তব্যের উদ্দেশে আবার রওনা হবেন যাত্রীরা। তার আগে পর্যন্ত করাচিতেই তাঁদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বিকল্প সেই বিমান শেষ পর্যন্ত করাচি থেকে ওড়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। সেখান থেকে যখন ১৩৮ জন যাত্রী দুবাই পৌঁছন তখন ক্যালেন্ডারে তারিখ বদলে গিয়েছে। চার ঘণ্টার যাত্রা পথ দীর্ঘায়িত হয়েছে প্রায় ১৪ ঘণ্টায়।
ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের (ডিজিসিএ) তরফে জানানো হয়, বিমান চালকেদের কাছে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হয়ে যাওয়ার সতর্কবার্তা এসেছিল। তাই বাধ্য হয়েই তাঁদের জরুরি অবতরণ করাতে হয়। এর পর যাত্রীদের জন্য মুম্বই থেকে বিকল্প বিমান করাচিতে পৌঁছয় রাত ৯টা ২০ মিনিটে। ডিজিসিএ জানিয়েছে, বিমানের সতর্কবার্তা দেওয়া আলোর প্যানেলে সামান্য বিভ্রাট হয়েছিল। কিন্তু সেটি মেরামত করা যায়নি। বিমানের ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত না মেলায় বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করা হয় যাত্রীদের।