‘বাবা আমায় বাঁচাও, কিছু করো যাতে আমি বাঁচি’

বছর তেরোর মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বলছে, ‘‘বাবা আমায় বাঁচাও। কিছু একটা করো যাতে আমি বাঁচতে পারি।’’ হোয়াটসঅ্যাপের দৌলতে এখন মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে বার্তাটা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৭ ০৩:৩৩
Share:

বছর তেরোর মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বলছে, ‘‘বাবা আমায় বাঁচাও। কিছু একটা করো যাতে আমি বাঁচতে পারি।’’ হোয়াটসঅ্যাপের দৌলতে এখন মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে বার্তাটা। একটা ভিডিও। কয়েক হাজার মানুষ ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন সেটি। দেখে চোখে জল এসে যাচ্ছে অনেকেরই। যদিও এখন আর কিচ্ছু করার নেই। কারণ তার বাবা নিজের মেয়ের সেই কাতর আর্তিতেও সাড়া দেননি। গত রবিবার মারা গিয়েছে কিশোরী সাই শ্রী। তার বাবার বিরুদ্ধে অবশ্য পুলিশকে তদন্ত শুরু করতে বলেছে মানবাধিকার কমিশন।

Advertisement

অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় মায়ের সঙ্গে থাকত সাই। গত অগস্টে বোন ম্যারোয় ক্যানসার ধরা পড়ে তার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন ছাড়া সাইয়ের বাঁচার আর কোনও রাস্তা নেই। ইতিমধ্যেই মেয়ের চিকিৎসার খরচ বাবদ প্রায় তিরিশ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছিলেন সাইয়ের মা সুমাশ্রী। প্রতিস্থাপনের জন্য আর টাকা ছিল না তাঁর কাছে। কোন উপায় না দেখে নিজেই বাবাকে একটি ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায় সাই। তেলুগু ভাষায় তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বাবা তুমি বলেছিলে তোমার কাছে টাকা নেই। কিন্তু আমাদের একটা বাড়ি তো আছে। সেটা বেচে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থাটুকু করো।’’

আরও পড়ুন: সমতলে জয়রথ, পা পাহাড়েও

Advertisement

অভিযোগ, সাইয়ের বাবা, শিবকুমারের সামর্থ থাকলেও তিনি নাকি মেয়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়াননি। এক সমাজকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কানে পৌঁছয়।

দেখুন ভিডিও:

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement